হার্টবিট ডেস্ক
এই বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে অবদান রাখায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন দুই বিজ্ঞানী। তারা হলেন- ক্যাটালিন কারিকো এবং ড্রু ওয়েইসম্যান।
আজ সোমবার (২ অক্টোবর) সুইডেনের নোবেল অ্যাসেমব্লি অ্যাট ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউট তাদের নাম ঘোষণা করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এপি এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ক্যাটালিন কারিকো এবং ড্রু ওয়েইসম্যানকে তাদের নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তন সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য, যা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা বিকাশকে সক্ষম করেছে’ নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
পুরস্কার দেওয়ার কারণ হিসেবে নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ক্যাটালিন এবং উইসম্যানের আবিষ্কারের ফলে ২০২০ সালের শেষের দিকে অত্যন্ত কার্যকর দুটি এমআরএনএ-ভিত্তিক কোভিড-১৯ টিকা উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছিল। এই টিকাগুলো বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে এবং আরও অনেক লোকের গুরুতর রোগ প্রতিরোধ করেছে।
জানা যায়, করোনা টিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নাম ম্যাসেঞ্জার আরএনএ বা এমআরএনএ। মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও মডার্নার করোনা টিকা এমআরএনএ প্রযুক্তির। এই প্রযুক্তিতে টিকা প্রস্তুতে মৃত বা বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত জীবাণু ব্যবহার করা হয়না। বরং ব্যবহার করা হয় এক ধরণের প্রোটিন, যা দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর কোনো নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে মানবদেহের সহজাত প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বহুগুণ শক্তিশালী করে।
প্রতি বছর বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য ছয়টি ক্যাটাগরিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞান ক্যাটাগরি দিয়ে জয়ীদের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়।
১৯০৫ সালে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১০৯ বার নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তবে কমিটি বরাবরই পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম পরিচয় গোপন রেখে আসছে।
১৮৯৫ সালের নভেম্বরে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪ শতাংশ (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল।
Discussion about this post