হার্টবিট ডেস্ক
গবেষণার কাজে থিসিস লেখায় স্বচ্ছতা থাকতে হবে। গবেষণায় কাট, কপি পেস্ট করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দির আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) থিসিস লিখন এবং কপি পরিহার (ওয়ার্কশপ অন থিসিস রাইটিং এন্ড এভয়ডিং অব পেলগেরিজম) শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএসএমএমইউর এ ব্লকের চতুর্থ তলার লেকচার গেলারিতে এ কর্মশালার আয়োজন করে বেসিক সাইন্স এন্ড প্যারাক্লিনিক অনুষদ।
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দির আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানত তিনটি কাজ- মেডিকেল শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা ও গবেষণা করা। আমরা চাই, মেডিকেল শিক্ষা, সেবার পাশাপাশি গবেষণায় সেরা হোক এই বিশ্ববিদ্যালয়। এ জন্য গবেষণার কাজে থিসিস লেখায় স্বচ্ছতা থাকা চাই। তাই সবার আগে কীভাবে থিসিস লিখতে হবে, তা জানানোর জন্য এ ধরনের সেমিনার কর্মশালার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, থিসিস পেপার জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই সুপারভাইজারদের পরামর্শ নেওয়া ও দেখানো উচিত। থিসিস পেপারে নকল ধরা পড়লে চাকরি যাওয়ার মতো শাস্তির মুখে পড়তে হয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল ইনডেক্সিং করার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এটি ইনডেক্সিং করা হয়ে যাবে।
প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গবেষকদের কাজে লাগানোর কথা জানিয়ে বিএসএমএমইউর ভিসি বলেন, গবেষণার কাজে তরুণ শিক্ষকেদর এগিয়ে আসতে হবে। দেশে প্রখ্যাত গবেষকদের সঙ্গে তাদের কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন গবেষণার দরজা যেন বন্ধ না করি। গবেষণার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দরজা খোলা। তার নির্দেশনা মেনেই আমরা অবসরপ্রাপ্ত গবেষকদের আহ্বান জানিয়েছি। গবেষণার দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত করা আছে।
শারফুদ্দির আহমেদ বলেন, নিয়ম হলো প্রতি দশ বছর পর কোর্স কারিকুলাম আপডেট করা। বর্তমান কোর্স কারিকুলাম দশ বছরের বেশী হয়ে গেছে। আমি চাই কোর্স কারিকুলাম আপডেট হোক। আমি শুরু করে যেতে পারলে হয়তো এটি শেষও হবে। কোর্স কারিকুলাম আপডেট করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর বেসিক সাইন্স এন্ড প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে জার্নাল কোপাস ইন্ডেক্সিং করা হবে। এ কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
থিসিস যাতে কপি পেস্ট না হয়, সেজন্য পেলগেরিজম চেক করে তা সংশোধন করে থিসিস দাখিল করার প্রয়োজনীয়তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি অনুষদের ডীন কার্যালয়ে পেলগেরিজম সফটওয়ারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
কর্মশালায় বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মোজাম্মেল হক ‘টাইটেল এন্ড এবস্ট্রাক্ট’,প্যাথোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জিল্লুর রহমান গবেষণার ‘ভূমিকা’, এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম গবেষণায় ‘রেজাল্ট এন্ড ডিসকাশনস’, ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম গবেষণায় ‘রেফারেন্সিং এন্ড এভয়ডিং অব পেলগারিজম’ বিষয়ে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার, ল্যাবরেটোরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবতোষ পাল, গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান ও সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক হোসেন প্রমুখসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post