হার্টবিট ডেস্ক
ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য হাহাকার করছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। কিন্তু চলতি মাসেই মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাচ্ছে জনসন অ্যান্ড জনসনের কয়েক লাখ ডোজ টিকা। এ টিকা গুলো কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ ও ফেডারেল সরকার ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে জানা যায়, এই গ্রীষ্মেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে ফাইজারের এবং মডার্নার কিছু ভ্যাকসিন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মজুদ আছে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা। মডার্নার টিকা সাধারণত উৎপাদনের পর ছয় মাস পর্যন্ত হিমায়িত অবস্থায় রাখা সম্ভব। এ দিকে ফাইজারের টিকার মেয়াদ থাকে মাত্র পাঁচ মাস।
শুধু ফিলাডেলফিয়াতেই জনসন অ্যান্ড জনসন ভ্যাকসিনের ৪২ হাজার ডোজের মেয়াদ শেষের পথে। এছাড়াও পেনসিলভানিয়া, ওকলাহোমা, ওহিও এবং আরকানসাসেও চলতি মাসে হাজার হাজার জনসন অ্যান্ড জনসন ভ্যাকসিন মেয়াদোত্তীর্ণ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের ২ কোটি ১৪ লাখ ডোজের মাত্র অর্ধেক ডোজ জনগণকে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মডার্না ও ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ৮৩ শতাংশ।
এদিকে ধনী দেশগুলো যদি এখনই তাদের কাছে থাকা বাড়তি টিকার বড় একটি অংশ দরিদ্র দেশগুলোতে না পাঠায় তাহলে করোনাভাইরাস টিকার লাখ লাখ ডোজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইউনিসেফ। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক এই সংস্থাটি বলছে, একবারেই সব টিকা প্রয়োগ করতে পারার সংগতি দরিদ্র দেশগুলোর নেই।
Discussion about this post