হার্টবিট ডেস্ক
সারাদেশে এক সপ্তাহে করোনার নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত, মৃত্যু ও সুস্থ রোগীর সংখ্যা কমছে। এ সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় মৃত্যু ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ, শনাক্ত ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ, নমুনা পরীক্ষা ৪ দশমিক ৯ শতাংশ ও সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৫৬ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে।
চলতি বছরের করোনা সংক্রমণের ইপিডেমিওলজিক্যাল ৩৭তম সপ্তাহের (১৩ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর) তুলনায় ৩৮তম সপ্তাহে (২০ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর) এ পার্থক্য পাওয়া যায়।
৩৭তম সপ্তাহে মোট এক লাখ ৯০ হাজার ৯২৩টি নমুনা পরীক্ষা, ১২ হাজার ২৭০ জন শনাক্ত ও ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে সুস্থ হন ২২ হাজার ৭২০ জন রোগী।
৩৮তম সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা হয় এক লাখ ৮১ হাজার ৪৯৪টি, শনাক্ত আট হাজার ৬৬৮ জন ও ১৮৯ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৯৩৮ জনে দাঁড়ায়।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৪৩৯ জনে।
এই সময়ে নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ২১২ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৫৬৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি ৮২১টি ল্যাবরেটরিতে ২৭ হাজার ৭৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৬ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩৭টি।
নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ২০২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ১২ হাজার ৬৮১ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৫ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন, ষাটোর্ধ্ব ছয়জন, সত্তরোর্ধ্ব চারজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী চারজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৯ জন, চট্টগ্রামে আটজন, খুলনায় তিনজন, সিলেটে তিনজন ও রংপুর বিভাগে দুইজনের মৃত্যু হয়।
Discussion about this post