হার্টবিট ডেস্ক
ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকা বৈষম্য বৃদ্ধিতে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান ‘টিকা-বিভাজন’ প্রবণতা শুধুমাত্র মহামারিটিকেই দীর্ঘস্থায়ী করবে। কোভিডমুক্ত বিশ্বের জন্য অবশ্যই সব মানুষের জন্য সার্বজনীন ও সাশ্রয়ী মূল্যে টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেওয়া ১৭তম বাংলা ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
কোভিডমুক্ত বিশ্ব গড়তে সার্বজনীন ও সাশ্রয়ী মূল্যে টিকা প্রাপ্যতায় যথাযথ বৈশ্বিক পদক্ষেপ দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকা বৈষম্য বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ যাবৎ উৎপাদিত টিকার ৮৪ শতাংশ উচ্চ ও উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মানুষের কাছে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, নিম্ন আয়ের দেশগুলো ১ শতাংশেরও কম টিকা পেয়েছে। জরুরিভিত্তিতে এ টিকা বৈষম্য দূর করতে হবে। লাখ লাখ মানুষকে টিকা থেকে দূরে রেখে কখনই টেকসই পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। আমরা পুরোপুরি নিরাপদও থাকতে পারবো না।’
টিকা প্রযুক্তি হস্তান্তর টিকার সমতা নিশ্চিতের একটি উপায় হতে পারে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তি সহায়তা ও মেধাস্বত্ত্বে ছাড় পেলে বাংলাদেশও বিপুল পরিমাণে টিকা তৈরি করতে সক্ষম।
এ বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, বহুপাক্ষিকতাবাদ ও জাতিসংঘ ব্যবস্থার দৃঢ় সমর্থক হিসেবে বাংলাদেশ এই সংকটকালে জাতিসংঘকে আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে দেখে। সব ধরনের মতভেদ ভুলে গিয়ে আমাদের অবশ্যই ‘অভিন্ন মানবজাতি’ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে, সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সবার জন্য আবারও এক সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে।
মহামারি করোনা মোকাবিলার পাশপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট ৬ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি। আলোচনায় উঠে আসে ফিলিস্তিন এবং আফগান সমস্যাও। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ইস্যুতে পুনরায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের জোরালো ভূমিকা ও অব্যাহত সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এই মহামারি আরও বেশ কিছুদিন স্থায়ী হতে পারে আশঙ্কা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অভিন্ন শত্রুকে মোকাবিলা করার জন্য অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আমাদের অনেক বেশি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈশ্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেন।
Discussion about this post