হার্টবিট ডেস্ক
দেশে ঋতু পালা বদলের সাথে সাথেই বাড়ছে সাধারণ সর্দি-জ্বরের প্রকোপও। করোনা ও ডেঙ্গু উপসর্গের সাথে মিল থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা স্বাভাবিক জ্বর-কাশি। আক্রান্তদের বেশিরভাগই এক থেকে পাঁচ বছরে শিশু। করোনা ও ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকায় সর্দি কিংবা জ্বর হলেই পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তীব্র রোদের পর হঠাৎ বৃষ্টি। দিনের বেলা অসহনীয় গরম আবার রাতে তুলনামূলক শীতল হাওয়া। আবহাওয়ার এমন রূপ বদলে খাপ খাওয়াতে গিয়ে বাড়ছে জ্বর সর্দি-কাশির প্রকোপ। বিশেষ করে শিশুরাই বেশি ভুক্তভোগী এমন আবহাওয়ায়।
হাসপাতালে ভর্তি হবার মতো জটিল না হলেও হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে এমন রোগীর সংখ্যা। সামান্য থেকে তীব্র জ্বর থাকছে কিছুদিন, এরপরই সর্দি-কাশির উপসর্গ।
সাধারণত বাংলাদেশে শীতকালে আগে এই সময়টাতে এমন সর্দি-জ্বরের প্রকোপটা স্বাভাবিক। চলতি বছর স্বাভাবিক জ্বরে এ এইচ থ্রি ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপটাই বেশি। ন্যাশনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা সার্ভিয়েলেন্স বাংলাদেশের তথ্য বলছে, এমন জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে ২০ ভাগেরও বেশি এক থেকে পাঁচ বছর বয়সীরা।
তবে, সময়টা যেহেতু করোনা আর ডেঙ্গুরও তাই জ্বর হলে অবহেলা না করে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ গ্রহণ করলে হতে পারে হিতে বিপরীত। তাই, ডাক্তারের কাছে যাবার সুযোগ না থাকলেও সরকারি স্বাস্থ্য বাতায়ন থেকে টেলিমেডিসিন সেবা নিতে পারেন রোগীরা।
Discussion about this post