হার্টবিট ডেস্ক
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের কারও পরিবার আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করলে তা বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
শুক্রবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন-এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে নগরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ’ শীর্ষক ছায়া সংসদে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে কেউ যদি সহযোগিতার জন্য আবেদন করেন তাহলে সেটি অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি মৃত্যুই অত্যন্ত বেদনাদায়ক যা আমাদেরকে মর্মাহত করে। আমরা কেউ এ ধরনের মৃত্যু চাই না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে যারা মারা গেছেন, তাদের কোনো পরিবার সহযোগিতা চাইলে সেটা আমলে নেওয়া হবে।’
মশক নিধন এবং পরিচ্ছন্নকর্মীরা নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে অর্থ উত্তোলন করছেন- এমন অভিযোগের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, কেউ যদি এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে যারা আক্রান্ত অথবা মৃত্যুবরণ করছেন, তাদের তথ্য নিয়মিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হচ্ছে।
একাধিক উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করায়, শুধু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নাকি অন্য কোনো কারণে মারা গেছেন, এগুলো আইইডিসিআর থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হযতো একটু সময় লাগছে বলে জানান মন্ত্রী।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানামুখি উদ্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ মাসের পর থেকে দেশে এডিস মশা এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
Discussion about this post