হার্টবিট ডেস্ক
গত পাঁচ দিন ধরে করোনা রোগীশূন্য খুলনার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল (সদর) হাসপাতাল। এই কয়েক দিনে সেখানে নতুন কোনো করোনা রোগী ভর্তি হননি। এমন পরিস্থিতিতে আগামী শনিবার এ হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগী দেখা শুরু হবে এবং সোমবার সাধারণ রোগী ভর্তি শুরু হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে সদর হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি বন্ধ হলেও করোনা রোগীদের চিকিৎসায় জেলার অন্য দুটি সরকারি হাসপাতাল খোলা থাকবে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত ২০০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ও শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা চালু থাকবে। ওই দুই হাসপাতালে বর্তমানে ৩০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে গত জুনের প্রথম থেকেই খুলনায় করোনা রোগীর চাপ বাড়তে থাকে। তখন শুধু ১০০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল দিয়ে রোগী সামলানো যাচ্ছিল না।
এমন পরিস্থিতিতে গত ১৬ জুন ২৫০ শয্যার খুলনা সদর (জেনারেল) হাসপাতালে ৮০টি করোনা শয্যা করে ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করা হয়। ২০ জুন সেখানে শুরু হয় করোনা রোগীর ভর্তি কাযক্রম। চালু করার আগে সেখানে সাধারণ রোগীদের ভর্তি বাতিল ও ভর্তি থাকা অন্য রোগীদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সদর হাসপাতালের করোনা রোগী ভর্তির তথ্য থেকে দেখা গেছে, সর্বশেষ গত ২৮ আগস্ট ৮০ শয্যার ওই করোনা হাসপাতালে মাত্র ৪ রোগী ভর্তি ছিলেন। পরদিন সবাই সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে চলে যান। ওই দিন থেকে হাসপাতালে আর নতুন কোনো রোগী ভর্তি হননি।
খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, সদর হাসপাতালে বর্তমানে করোনা রোগীর চাপ নেই। তাই জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভায় হাসপাতালটিকে আবার সাধারণ হাসপাতাল হিসেবে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী শনিবার বহির্বিভাগে সাধারণ রোগী দেখা শুরু হবে। আর সোমবার শুরু হবে রোগী ভর্তি কাযক্রম।
এর আগে গত বছর ওই হাসপাতালে করোনা ইউনিট করার জন্য প্রস্ততি নেওয়া হয়েছিল। এরপর সেখানে বসানো অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর পাশাপাশি ১২টি আইসিইউ শয্যাও প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার প্রভাব কমে যাওয়ায় তা বাতিল হয়ে যায়।
Discussion about this post