হার্টবিট ডেস্ক
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার ভ্যাকসিন বিক্রির দায়ে ইপিআই পোর্টার (ভ্যাকসিন বাহক) জাকির হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় জিডিও করা হয়েছে।
সোমবার সকালে সিভিল সার্জন অফিস সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ আগস্ট উপজেলার মরাদোন গ্রামে ও ২২ আগস্ট ঠাকুরচর গ্রামে টাকার বিনিময়ে বাড়িতে গিয়ে করোনার সিনোফার্ম ভ্যাকসিন দিয়েছে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই পোর্টার (ভ্যাকসিন বাহক) জাকির।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি অবহিত হয়ে গত ২২ আগস্ট চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহর নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন। মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাইনুল ইসলাম মোনাসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. জাবেদ ইকবাল ও পরিদর্শক খলিলুর রহমান।
তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে ইপিআই পোর্টার (ভ্যাকসিন বাহক) জাকির টাকার বিনিময়ে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ৩১ পিস সিনোফার্ম করোনার ভ্যাকসিন দিয়েছে- তার প্রমাণ পেয়েছে। এ প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ডা. নাইমুল ইসলাম মোনাস বলেন, প্রাথমিকভাবে জাকির হোসেন বিষয়ে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। জাকিরের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন বলেন, ইপিআই পোর্টার (ভ্যাকসিন বাহক) জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও ডিজি বরাবর চিঠি পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে যদি জাকির হোসেনের সাথে আর কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, এত সতর্কতার পরও এমন ঘটনা দু:খজনক। বিষয়টি জানার পরই আমি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেই। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ২৬ আগস্ট অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। থানায় জিডি করা হয়েছে। এছাড়া টিকাদান কেন্দ্রের নিরাপত্তা বাড়াতে পুলিশ বিভাগের সাথে কথা হয়েছে।
Discussion about this post