হার্টবিট ডেস্ক
করোনা বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল আট শয্যার একটি পূর্ণাঙ্গ হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) চালু হয়েছে।
রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুরে এইচডিইউ’র উদ্বোধন করেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপমন্ত্রী নওফেল চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করার আশ্বাস দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নওফেল বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতালে পরিণত হচ্ছে। এই হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তরের চেষ্টা চলছে। এটি হলে একটা পূর্ণাঙ্গ অর্গানোগ্রাম পাওয়া যাবে। জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে সকলে পর্যায়ে জনবল থাকবে। শুধুমাত্র অবকাঠামোই কিন্তু হাসপাতাল নয়, হাসপাতালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। পূর্ণাঙ্গ অর্গানোগ্রাম পাওয়া গেলে চিকিৎসা সেবা দেওয়া অনেকটাই সহজ হবে।’
আটটি এইচডিইউসহ মোট ২৬টি আইসিইউ শয্যা এবং প্রতিটি সাধারণ শয্যায় অক্সিজেন সুবিধা চালুর তথ্য তুলে ধরে উপমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার শুরুতে যখন এখানে এসেছি, তখন দেখেছি ভয়ে কেউ আশপাশেও আসতো না। তখন এই হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সরা নিজের জীবন বাজি রেখে রোগীদের আন্তরিকভাবে সেবা দিয়ে গেছেন। সরকারি হাসপাতালের সেবা বাড়াতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
শিল্পগ্রুপ বিএসআরএমের আর্থিক সহায়তায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এইচডিইউ স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালও বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করেছে। ২০২০ সালে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর চিকিৎসা নিয়ে হাহাকার কমাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার উদ্যোগে ২১ এপ্রিল থেকে ৬০ শয্যার এই ফিল্ড হাসপাতাল চালু করা হয়েছিল। সংক্রমণ কমে এলে ওই বছরের ৩১ আগস্ট সেটা বন্ধ ঘোষণা করা হয়
এইচডিইউ চালুতে আর্থিক সহায়তা এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম দেওয়ায় ফিল্ড হাসপাতালকে ধন্যবাদ জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে ও মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মো. আবদুর রব মাসুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা বিদ্যুৎ বড়ুয়া, হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আজয় দাশ ও মৌমিতা দাশ।
Discussion about this post