হার্টবিট ডেস্ক
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে নতুন করে সাড়ে ১০ কোটি টিকার চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়াস্থ শুভ্র সেন্টারে উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য টিকার ব্যবস্থা করব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে নতুন করে সাড়ে ১০ কোটি টিকার চুক্তি হয়েছে।’
একই দিন বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে করোনাকালে চিকিৎসকদের দায়িত্বশীলতার ভূয়সী প্রসংশা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চলমান করোনায় আমাদের ডাক্তাররা ঠিক মতোই কাজ করে যাচ্ছেন। মন্ত্রণালয় তাঁদের সহযোগিতা করছেন কেবলমাত্র।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন হচ্ছে। এমন একটা পরিস্থিতিতেও দেশের প্রবৃদ্ধি ছয়ের মধ্যে রয়েছে। এটি একটি বিশাল অর্জন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর গাইডলাইনে কাজ করে যাচ্ছি। যে কারণে আমরা মহামারীকে সফলভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি।’
ভারতসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওসব দেশের সরকার করোনা নিয়ে দিশেহারা। মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশ করোনার টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। অথচ প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা করোনা মোকাবিলা করে যাচ্ছি। করোনা পরীক্ষার একটি ল্যাব থেকে এখন সাড়ে সাতশ’ ল্যাব হয়েছে। দেশের মানুষ করোনা পরীক্ষা করতে পারছেন। রাস্তাঘাটে পড়ে কেউ মারা যায়নি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড রয়েছে। ওষুধপত্রসহ সবকিছুর ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ ভারতের মতো দেশে অক্সিজেনের অভাবে অনেক মানুষ মারা গেছে।
স্বাচিপ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমদ, সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ।
Discussion about this post