হার্টবিট ডেস্ক
খাবার আপনাকে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায়। তাই যাঁরা অতি মাত্রায় স্বাস্থ্যসচেতন, তাঁরা সবার আগে কী খাচ্ছেন সেদিকে নজর দেন। ফল বা সালাদ যেহেতু কাঁচাই খাওয়া যায়, তাই তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বাকি রান্নাগুলি ঠিক কীভাবে রাঁধলে খাবারের পুষ্টিগুণ পুরোমাত্রায় বজায় থাকবে আসুন তা জেনেনেই।
স্টিমিং বা ভাপানো
আমাদের সবচেয়ে প্রিয় মাছ, ইলিশ আর চিংড়িই তো ভাপিয়ে খেতে পছন্দ করি! ভেটকির পাতুরি যদি ছাঁকা তেলে না ভেজে ভাপিয়ে নেন, তা হলেও ভারী চমৎকার লাগে খেতে। ইন ফ্যাক্ট, যে কোনও গ্রেভিতে কাঁচা মাছ ছেড়ে রান্না করলে তা ভাপানোর পর্যায়েই পড়ে। আপনার পছন্দের যে কোনও মাছ-মাংস-সবজি ভালো করে ধুয়ে নিয়ে নুন-গোলমরিচ-লেবুর রস বা আদা-কাঁচালঙ্কা-টক দই ইত্যাদি মাখিয়ে রেখে দিন খানিকক্ষণ। ম্যারিনেশনে একটি টকজাতীয় উপাদান থাকা আবশ্যক, তা প্রোটিনের তন্তুগুলিকে নরম করে দেবে। তার পর টগবগিয়ে জল ফোটান একটি পাত্রে, অন্য পাত্রে বা কলার পাতায় মুড়ে টিফিনবাক্সে ভরে ভাপিয়ে নিন আপনার মাছ বা মাংস।
গ্রিলিং
ওই একই পদ্ধতিতে ম্যারিনেট করে নিন প্রথমে, তার পর ভাপানোর বদলে আভেনে বা নন-স্টিক ফ্রাই প্যানে খাবারটি গ্রিল করে নিন। খাদ্যবস্তু নিজের আর্দ্রতাতেই সিদ্ধ হবে, একান্ত প্রয়োজন পড়লে সামান্য ফ্যাট যোগ করতে পারেন গ্রিল করার সময়ে।
সেদ্ধ
সেদ্ধ খাবার তো আমাদের দৈনিক খাদ্যতালিকারই অঙ্গ! নানা রকম ডাল সেদ্ধ, বা আলু-গাজর-কড়াইশুঁটি সেদ্ধ সামান্য নুন-মরিচ আর অল্প ঘি-তেল বা মাখন দিয়ে খেতে দিব্য উপাদেয় লাগে। স্যুপও মূলত সেদ্ধই। চিকেন বা ডিম সেদ্ধ দিয়ে দারুণ স্বাদু স্যালাড বানিয়ে নেওয়া সম্ভব।
স্টার ফ্রাই
ছাঁকা তেলে ভাজার চেয়ে নন-স্টিক কড়ায় অল্প তেল ছড়িয়ে চড়া আঁচে ভেজে নেওয়াটাই হচ্ছে স্টার ফ্রাই। স্বাদ বাড়ানোর জন্য পছন্দের সস যোগ করতে পারেন। যে কোনও সবজি, চিকেন বা মাছের স্টার ফ্রাই করা সম্ভব।
Discussion about this post