হার্টবিট ডেস্ক
দেশে রোগী সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি চলছে। টানা পাঁচ দিন করোনাতে আক্রান্ত হয়ে দুইশো’র বেশি রোগী মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
আর সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এবং মৃত্যুর এই মিছিলের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, রাজধানীর করোনা ডেডিকেটেড ২৮ হাসপাতালের মধ্যে ১২ হাসপাতালেই আইসিইউ ফাঁকা নেই। বাকি হাসপাতালগুলোতেও বেড সংখ্যা ফাঁকা রয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি।
রবিবার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, বেসরকারি ২৮ হাসপাতালের মধ্যে আসগর আলী হাসপাতালের ১৮ বেড, ইবনে সিনা হাসপাতালের ১০ বেড, ইউনাইটেড হাসপাতালের ২২ বেড, এ এম জেড হাসপাতালের ১০ বেড, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আট বেড, গ্রিন লাইফ হাসপাতালের ১০ বেড, ল্যাব এইড হাসপাতালের সাত বেড, পপুলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৪২ বেড, ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২১ বেড, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের আট বেড, হাই কেয়ার হাসপাতালের ১০ বেড ও আল মানার হাসপাতালের ছয় বেডের মধ্যে সবগুলোতে বেডে রোগীতে ভর্তি।
বাকি হাসপাতালগুলোর মধ্যে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৬ বেডের মধ্যে ১৬টি, স্কয়ার হাসপাতালের ২৮ বেডের মধ্যে আটটি, এভার কেয়ার হাসপাতালের ২১ বেডের মধ্যে দুইটি, ইমপালস হাসপাতালের ৫৬ বেডের মধ্যে ১০টি, জাপান ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১২ বেডের মধ্যে আটটি, হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের ১৫ বেডের মধ্যে একটি, এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৪০ বেডের মধ্যে ছয়টি, সাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২২ বেডের মধ্যে ১১টি, জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের ১২ বেডের মধ্যে তিনটি, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০ বেডের মধ্যে একটি, বেটার লাইফ হাসপাতালের ২৪ বেডের মধ্যে ১৬টি, কমফোর্ট হাসপাতালের আট বেডের মধ্যে দুইটি, ফেমাস হাসপাতালের ১২ বেডের মধ্যে আটটি, বিআইএইচএস হাসপাতালের ১৬ বেডের মধ্যে দুইটি, সাজেদা হাসপাতালের ছয় বেডের মধ্যে একটি আর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের পাঁচ বেডের মধ্যে পাঁচটিই ফাঁকা রয়েছে।
অর্থাৎ স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, বেসরকারি ২৮ হাসপাতালের ৮৭৮টি আইসিইউ বেডের মধ্যে মাত্র ১৫৭টি বেড এই মুহূর্তে ফাঁকা রয়েছে।
Discussion about this post