হার্টবিট ডেস্ক
দেশে প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই আতংক হয়ে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু । প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা। এ অবস্থায় যেকোনো ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত হলেই করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সোমবার (১২ জুলাই) অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন এ তথ্য জানান ।
তিনি বলেন, বর্ষাকাল শুরু হওয়ার পর দেশে মশাবাহিত রোগটির প্রাদুর্ভাব বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় জ্বর নিয়ে কোনো রোগী হাসপাতালে এলেই তাকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষাও করতে হবে। এ বিষয়ে দেশের সব সরকারি হাসপাতালের পরিচালক, সিভিল সার্জন, তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
রোবেদ আমিন বলেন, সরকারের তরফ থেকে করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গু, দুটো পরীক্ষাই বিনামূল্যে করা হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষের কাছেও আমাদের নির্দেশনা হলো; জ্বর হলেই এই দুটো পরীক্ষা অবশ্যই করাবেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, রোববার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত অন্তত ৭০ জন রোগী রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় মোট ১২৩ জন এবং চলতি মাসের ১২ দিনে মোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪২৫ জন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য দেশের সব জেলা-উপজেলা হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর নির্দেশনার পাশাপাশি দেশের প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক এনএসওয়ান পরীক্ষার কিট সরবরাহ করা হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের জন্য দিনের বেলায় মশারি এবং চিকিৎসার জন্য সব প্রস্তুতি রাখার জন্যও বলা হয়েছে। যাতে কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে তার থেকে এডিসবাহী মশার মাধ্যমে যেন অন্য রোগীরা আক্রান্ত না হয়।
ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যখনই নিকটস্থ হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা করাবেন, তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসাও নেবেন। প্রয়োজনে আমাদের (স্বাস্থ্য অধিদফতরের) হটলাইনে যোগাযোগ করবেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, সবমিলিয়ে এই বছরে মোট ৭৯৬ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩২ জন ঢাকার বাইরের। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এখন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন ২০৯ জন। আর ঢাকার বাইরে ভর্তি আছেন মাত্র একজন।
Discussion about this post