হার্টবিট ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট নির্ধারণে জেনোম সিকোয়েন্সিং চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন দেখেন তা বাস্তবায়ন করেন। ইতোমধ্যে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশে অবশ্যই করোনা ভাইরাসে ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি আছে। ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের করোনা সেন্টারের সাধারণ শয্যা সংখ্যা ও আইসিইউ সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনের কার্যক্রম বিষয়ে নিউজ লেটার প্রকাশনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বেতার ভবনে করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সাথে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ইউনিট চালু করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট নির্ধারণে জেনোম সিকোয়েন্সিং চালু করা হয়েছে। ইনশাল্লাহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম হবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, বেসিক সাইন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম ও শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার।
Discussion about this post