হার্টবিট ডেস্ক
ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৩০ শতাংশের মধ্যে ডেলটা ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী এই ধারা অব্যাহত থাকলে জুলাইয়ের শেষেই করোনার চতুর্থ ঢেউ দেখা দেবে।
করোনাভাইরাস আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। এরই মধ্যেই জুলাই মাসের শেষ নাগাদ দেশটিতে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার (৫ জুলাই) দেশটির সরকারের মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল আত্তাল ফ্রান্স ইন্টার রেডিওকে জানান, গত পাঁচ দিনে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের ঘটনা বেড়েছে। ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৩০ শতাংশের মধ্যে ডেলটা ধরন শনাক্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী এই ধারা অব্যাহত থাকলে জুলাইয়ের শেষেই করোনার চতুর্থ ঢেউ দেখা দেবে।তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের জনগণকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।এর আগের দিন ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরানও একই সতর্কতা জারি করেন।
ভেরান এক টুইটে বলেন, জুলাই মাসের শেষ দিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ আসতে পারে। তবে টিকাদান, করোনা পরীক্ষা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। দেশটির সংবাদমাধ্যম বিএফএমটিভি নিউজকে তিনি বলেন, ফ্রান্স বর্তমানে ভাইরাস সংক্রমণের নিম্ন পর্যায়ে থাকলেও মহামারিটিকে আমরা পুরোপুরি পরাজিত করতে পারিনি। তবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় খুব দ্রুত আবারও এর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ব্রিটেনে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের যে বিস্ফোরণ বা উল্লম্ফন ঘটছে, তা আমরা সবাই দেখেছি। এই বিস্ফোরণের লক্ষণগুলো সম্প্রতি ফ্রান্সেও দেখা যাচ্ছে।ফ্রান্সের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, পর্যাপ্ত জোগান থাকার পরও অনেকে টিকা নিচ্ছেন না। এটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে। দেশটির সরকার করোনার টিকা বাধ্যতামূলক করার পরও মাত্র ৩৬ শতাংশ জনগণ করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রথম করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয়। এরপর যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, পর্তুগালসহ বেশ কয়েকটি দেশে ভ্যারিয়েন্টটি ছড়িয়ে পড়ে। এবার ফ্রান্সেও পৌঁছে গেছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার ৯৯৯ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ১১ হাজার ১৯৭ জন।
Discussion about this post