হার্টবিট ডেস্ক
কুমিল্লায় করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছেই। লকডাউনের মাঝেও গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরও ২৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কুমিল্লায় করোনা শনাক্তের হার এখন ৪২.১ শতাংশ।
জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনই করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে। এ অবস্থায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ১৩৬ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছে ১৬৫ জন। রোগী বেশি ভর্তি হওয়ায় অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছে।
অতিরিক্ত ভর্তি রোগীদের সিলিন্ডার অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। আইসিইউ সুবিধা পেতে করোনা রোগীদের মধ্যে হাহাকার পড়ে গেছে। ইতোমধ্যে ৫০০ অক্সিজেনের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। যা কয়েক দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বলেন, চলতি সপ্তাহে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি ক্রমেই বেড়েছে। এ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ১৮টি আইসিইউ বেড ও ১৩৬টি সাধারণ বেড রয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে কেরোনা রোগী ভর্তি রয়েছে ১৬৫ জন। শুধু ডাক্তার- নার্সরা চিকিৎসা দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখানে কুমিল্লা জেলা ছাড়াও বি.বাড়িয়া, চাঁদপুর, ফেনী ,লক্ষীপুর, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলার রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে কমপক্ষে ২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বেডের তুলনায় অতিরিক্ত রোগীর কারণে করোনার ওয়ার্ডেই অতিরিক্ত বেড বসিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডাবলিং বেড বসানো সম্ভব হলেও সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অতিরিক্ত রোগীদের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেনের পরিবর্তে তখন তাদের অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অক্সিজেন কনসুলেটর (বিকল্প উপায়ে অক্সিজেনের সরবরাহ) দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন করে আক্রান্ত ২৮২ জনের মধ্যে ১৩৯ জনই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার। অপর ১৪৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। আক্রান্তের হার ৪২ দশমিক ১ শতাংশ। মৃত ৪ জনের মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার তিনজন এবং লাকসাম উপজেলার এক বাসিন্দা রয়েছেন।
এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজার ২৫৯ জন। এর আগে গত ১ জুলাই সর্বোচ্চ ১৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এ ছড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯৩ জনে।
Discussion about this post