হার্টবিট ডেস্ক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশে আটকেপড়া প্রবাসী কর্মীদের টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার (৬ জুলাই) থেকে। এর আগে সোমবার (৫ জুলাই) থেকে শুরু হবে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকার নিবন্ধন কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুরে অভিবাসী কর্মীদের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামসুল হক।
তিনি বলেন, সোমবার থেকে অভিবাসীরা সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকার জন্য নিবন্ধন করবেন। সেখানে তাদের জন্য আলাদা একটি উইন্ডো তৈরি করা হয়েছে। নিবন্ধনের পর আমরা ওইদিন রাতেই এসএমএস দেওয়া শুরু করব এবং পরদিন (মঙ্গলবার) থেকে আশা করছি তারা টিকা নিতে পারবেন।
শামসুল হক বলেন, সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের আগে তাদেরকে জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরোর মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে। এক্ষেত্রে জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরো ‘আমি প্রবাসী’ নামক একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। এর মাধ্যমেই তারা নিবন্ধন নিচ্ছে।
তিনি বলেন, অভিবাসী কর্মীরা জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরোর সারাদেশের জেলাগুলোতে যেসব অফিস রয়েছে, সেগুলোতে নিবন্ধন করতে পারবে। সেখানে নিবন্ধন করার পর সেই তালিকা যখন আমাদের হাতে আসবে, যাচাই-বাছাই করে আমরা আইসিটি ডিভিশনে পাঠাব, এরপর তারাই ফাইনাল তালিকা তৈরি করবে। সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের পর একটি ভ্যাকসিন কার্ড দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে ওই ব্যক্তি টিকা নিতে পারবেন।
শামসুল হক আরও বলেন, কোনো কাগজ বা ভ্যাকসিন কার্ড ছাড়া কাউকে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই নিবন্ধনের পর নির্দিষ্ট টিকা কেন্দ্র থেকে এসএমএস এবং ভ্যাকসিন কার্ড টিকা নিতে আসবেন।
ছুটির দিনেও খোলা থাকবে জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরো অফিস
স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর বলেন, জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরো প্রতিটি অফিস শুক্র এবং শনিবারও খোলা থাকবে। এমনকি লকডাউনেও তাদের অফিস খোলা রাখা হবে। এসময় প্রবাসীরা সেখানে গিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। তাদের রেজিস্ট্রেশন ছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগ টিকা দিতে পারবে না। আবারও সবাইকে অনুরোধ করছি যেন এসএমএস এবং ভ্যাকসিন কার্ড ছাড়া কেউ কেন্দ্রে এসে ভিড় না করেন ।
তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব, কুয়েতসহ চারটি দেশে সিনোফার্মের টিকা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা এই চারটি দেশের প্রবাসীদের ফাইজারের টিকা দিব। আর এগুলো দেওয়া হবে রাজধানীর ৭টি কেন্দ্রে। আর এই চারটি দেশ ছাড়া অন্যান্য দেশের প্রবাসীদেরকে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হবে।
টিকা কর্মসূচির এই পরিচালক বলেন, নিবন্ধনের সময় বাইরের জেলাগুলোর অভিবাসী কর্মীরা কেন্দ্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে ঢাকার কোনো কেন্দ্র না দিয়ে নিজস্ব জেলা সদর হাসপাতাল অথবা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্র বাছাই করবেন। এক্ষেত্রে আপনাদের ভোগান্তিও কমবে। কিন্তু সবাই যদি ভাবে ফাইজার টিকা নিতে ঢাকায় চলে আসে, তাহলে তো আমরা দিতে পারব না। কারণ ফাইজারের টিকাও খুবই অল্প পরিমাণ আমাদের হাতে রয়েছে।
এর আগে টিকা নিতে আসা প্রবাসীরা টিকা নিতে না পেরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বিক্ষোভ করেন। তাদের অভিযোগ, বিএমইটি স্মার্টকার্ড, পাসপোর্ট, অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও টিকা পাচ্ছেন না।
Discussion about this post