হার্টবিট ডেস্ক
খুলনায় থামছেই না যেন করোনায় মৃত্যুর মিছিল। হাসপাতালের সামনে সারিবদ্ধ মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সই বলে দিচ্ছে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা।এছাড়া হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের জন্য হাহাকারতো আছেই। করোনার প্রাদুর্ভাব কমিয়ে আনতে খুলনায় দফায় দফায় বিধিনিষেধ ও ‘লকডাউন’ দিয়েও করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (৩০ জুন) বুধবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় খুলনার পৃথক তিনটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ১৩ জনের মধ্যে রয়েছেন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে দু’জন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজন ও বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আটজন।
খুলনার বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মালিক ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ৮৫ জন। এরমধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন পাঁচজন আর এইচডিইউতে রয়েছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২১ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (২৯ জুন) হাসপাতালটিতে ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৭ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত তিনজন হলেন- খুলনার দৌলতপুরের আয়শা বেগম (৬৮), একই এলাকার ফাতেমা বেগম (৬০) এবং বাগেরহাটের শরণখোলার রাবেয়া বেগম (৪৫)।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ জন।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনার ১৩০ শয্যা বিশিষ্ট ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় দু’জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত দু’জন হাসপাতালের রেড জোনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আর হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০১ জন। এরমধ্যে রেড জোনে ১১৩ জন, ইয়ালো জোনে ৩৮ জন, আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিসিতে ২০ জন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালটি ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮ জন।
Discussion about this post