হার্টবিট ডেস্ক
সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ নজরে না পড়লেও ক্লিনিকগুলোতে রোগীর চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে। ফলে দিন দিন জমজমাট হয়ে উঠছে হবিগঞ্জে ক্লিনিক ব্যবসা। এসব ক্লিনিকের শতকরা ৮০ ভাগেরই বৈধ লাইসেন্স নেই; নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্সসহ আসবাবপত্র। তারপরও এসব ক্লিনিকের সামনে ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা এখানে রোগীদের সব ধরনের অপারেশন করা হয়’ এমন সাইন বোর্ড টাঙানো রয়েছে। ইদানীং অনেকে বৈধ কাগজের জন্য আবেদন করলেও প্রতারণা।
বুধবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় মুন জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার মাসুদ করিমকে আটক করে ভুয়া ডাক্তার প্রামানিত হওয়ায় তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন মোঃ রেজা এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মাসুদ করিম। তিনি রংপুর জেলার সদর উপজেলাধীন রাধাভল্বব গ্রামের মৃত আব্দুস শুকুরের পুত্র।
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ মোমিন উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানরত ভুয়া ডাক্তারকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এসময় তার সকল কাগজপত্র পর্যবেক্ষণে ভুয়া চিকিৎসকের সত্যতা পাওয়া যায় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষ স্বীকার করেন।
সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিন বিকেলে শহরের শায়েস্তানগর এলাকার মুন জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মাসুদ করীমকে আটক করা হয়। তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হলে সবই ভুয়া প্রমাণিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে চিকিৎসক নন বলেও স্বীকার করেন মাসুদ করীম।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসক হিসেবে যোগদানের সময় মুন হাসপাতালে ভুয়া জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন রংপুরের ছেলে মাসুদ। সেখানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ থেকে পিজিটি কোর্স সম্পন্ন করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
ডা. মোমিন উদ্দিন আরও জানান, রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে মাসুদ করীমের বিরুদ্ধে পাবনার ভাঙ্গুরা থানায় একই ধরনের মামলা চলমান রয়েছে।
Discussion about this post