হার্টবিট ডেস্ক
প্রতিনিয়ত মানসম্মত সেবার মাধ্যমে রোগীদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছে এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রাম। একের পর এক জটিল চিকিৎসায় সাফল্য অর্জন করে চলেছেন এই হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণ।
মাত্র মাস খানেক আগে ৩০০ গ্রাম ওজনের ব্রেইন টিউমার অপারেশন করে সাফল্য দেখিয়েছিলেন এই হাসপাতালের নিউরোসার্জারী বিভাগ। এবার সাফল্য মিলেছে হৃদরোগের আরেক চিকিৎসা এনজিওপ্লাস্টিতে। চিকিৎসকরা বলেছেন, স্বল্প খরচে মানুষ যাতে মানসম্মত সেবা পান সেদিকে লক্ষ্য রেখেই চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
সর্বশেষ হৃদরোগের জটিল এই চিকিৎসার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজী’র সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং কার্ডিওলজী বিভাগের কোঅর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. শেখ মো. হাছান মামুন।
তিনি বলেন, বুকের তীব্র ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪০ বছর বয়সী মো. তাসলিমুর রহমান। রোগীকে পর্যবেক্ষন করার পর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে রোগীর করোনারি এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নিই। এনজিওগ্রাম করার পর এতে দেখা যায় রোগীর হার্টের ২টি প্রধান রক্তনালী সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে আছে। পরে ৩টি রিং পরানোর পর সফলভাবে এনজিওপ্লাস্টি সম্পন্ন হলে রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। চিকিৎসার ২ দিনের মধ্যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ডা. মো. হাছান মামুন বলেন, রোগীর অবস্থা গুরুত্র থাকলেও এভারকেয়ার হাসপাতালের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং অভিজ্ঞ কার্ডিয়াক টিমের প্রচেষ্টায় আমরা রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্য দিয়ে হাসপাতালের সক্ষমতা এবং চট্টগ্রামে উন্নত চিকিৎসা সেবার নিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেডিকেল সেবা ও পাঁচ শতাধিক মেডিকেল প্রফেশনালসদের সঙ্গে নিয়ে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম চট্টগ্রামের সব স্তরের রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করছে।৪৭০ শয্যাবিশিষ্ট চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতাল মাল্টি ডিসিপ্লিনারী সুপার-স্পেশিয়ালিটি টারশিয়ারি কেয়ার হসপিটাল। এখানে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি সর্বাধুনিক আইসিইউ সেবা এবং ২৭টি বিশেষ ও উপ-বিশেষ বিভাগ রয়েছে।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের সিওও নিলেশ গুপ্ত বলেন, ‘আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, কনসালট্যান্ট, স্টাফ এবং আধুনিক প্রযুক্তিগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে। চট্টগ্রামের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।রোগীদের দোরগোড়ায় বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এভারকেয়ার নিবেদিত।’
Discussion about this post