হার্টবিট ডেস্ক
‘কোভিড হিরো’ সম্মাননার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) ও ২০২০ সালে করোনা ক্রান্তিকালে গড়ে ওঠা বেসরকারি উদ্যোগে দেশের প্রথম চট্টগ্রাম ফিল্ড হসপিটালের প্রধান উদ্যোক্তা ও নির্বাহী জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া।
রোটারি ইন্টারন্যাশনাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ জুন এ পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়।
২০২০ সালে করোনাকালে গড়ে ওঠা দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল ‘চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল’ ২১ এপ্রিল করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান শুরু করে। চট্টগ্রাম শহরে নাভানা গ্রুপের পরিত্যক্ত গ্যারেজকে ১৪ দিনের মধ্যে সাজিয়ে গুছিয়ে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য তৈরি করেন ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায়কে সম্বল করে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করে ১৬ হাজার বর্গফুটের হাসপাতাল মানবিক ভলান্টিয়ারদের সহযোগিতায় ১৪০ দিন রোগীদের বিনামূল্যে সেবা প্রদান করেন।
বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কাজের কথা সমাদৃত। ১৪০ দিন টানা চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের রোগীদের সাথে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া ও তাঁর ভলান্টিয়াররা আবাসিকভাবে অবস্থান করে নজির সৃষ্টি করেন। প্রায় ১৬০০ এর অধিক রোগীকে সেবা প্রদান করেন তারা। অনেকে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়াকে করোনাকালে চট্টগ্রামের প্রথম সাহস হিসাবে উল্লেখ করেন।
তিনি ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে বসবাস করতেন। করোনা সংকটে তিনি ছুটে গেছেন দেশে। মাতৃভূমি এবং তার মানুষের সেবায় তিনি জীবনকে পরোপকারে নিয়োজিত করাকে জরুরি মনে করেছেন। এখনও তিনি চট্টগ্রামের করোনারোগীদের সেবায় হোম সার্ভিস সেবা দিয়ে চলেছেন।
ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া এই অবদানের জন্য ইতিমধ্যে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে ‘চিকিৎসক রত্ন’, ওয়ালটন গ্রুপের ‘হেলথ হিরো’, ধ্রুবতারা ফাউন্ডেশনের ‘আইডিয়েল ডক্টর অ্যাওয়ার্ড’ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেছেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে সুইডেনের বিখ্যাত কারোলিন্সকা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমডি ও এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এবং অক্সফাম বাংলাদেশের কোভিড-১৯ কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।
Discussion about this post