হার্টবিট ডেস্ক
রক্তদান করতে নোটিফিকেশন পেতে বিশ্বজুড়ে ১০ কোটির বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে অন্তত এক কোটি ১০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছেন বাংলাদেশ থেকে।
গেল ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষ্যে এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানায় ফেসবুক। ফেসবুকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ক্যাং জিং জিন জানান, বিশ্বের ৩৭টি দেশে ফেসবুকের রক্তদানের এই ফিচার চালু রয়েছে। রক্তদানে আগ্রহী ব্লাড ডোনাররা এমন নিবন্ধন করেছেন যেন তাদের আশেপাশের কোনো অঞ্চল থেকে রক্তের প্রয়োজন হলে তারা সেটির নোটিফিকেশন পান।
২০১৭ সালে ভারতে সর্বপ্রথম এই ফিচার চালু করে ফেসবুক। এর মাধ্যমে যাদের রক্তের প্রয়োজন তারা খুব সহজেই রক্তদাতাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন। আবার রক্তদাতারা কারো রক্তের প্রয়োজন হলে সেটি দ্রুত জানতেও পারছেন।
২০১৯ এর জুনে ফিচারটি চালু করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এর দুই মাস পর দেশটিতে প্রথমবার রক্ত দিয়েছেন এমন রক্তাদাতার হার ১৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
এদিকে বাংলাদেশে ২০১৮ সালে ফিচারটি চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এক কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষ এতে রক্তদাতা হিসেবে এবং রক্তদানের নোটিফিকেশন পেতে নিবন্ধন করেন।
এবিষয়ে বাংলাদেশ বিষয়ক ফেসবুকের পাবলিক পলিসি ম্যানেজার সাবহানাজ রশিদ দিয়া বলেন, ফেসবুকে আমরা চেষ্টা করছি অনলাইন কমিউনিটি গড়ে তোলার মাধ্যমে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে।
করোনা মহামারীর সময়ে ব্লাডম্যান ও দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্লাড ব্যাংকের সঙ্গে মিলে রক্তের সুরক্ষিত যোগান নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে ফেসবুক। বাংলাদেশের সুস্থ ও রক্তদানে সক্ষম মানুষদের ফেসবুক ব্লাড ডোনেশন টুলে সাইন আপ করতে, নিজে রক্ত দিতে এবং অন্যদের রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে আহ্বান জানান তিনি।
Discussion about this post