হার্টবিট ডেস্ক
এক দিনের মধ্যে চলে গেলেন দেশের তিনজন চিকিৎসক। ২৮ মে সকালে একজন, ওই দিন দিবাগত গভীর রাতে একজন এবং ২৯ মে সকালে আরেকজন না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
করোনাভাইরাসে শুক্রবার (২৮ মে) রাত তিনটার দিকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ডা. এ এ গোলাম মর্তুজা হারুন। তিনি চট্টগ্রাম শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
ডা. গোলাম মর্তুজা ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম জেলা শাখা সভাপতি।
এই চিকিৎসকের মৃত্যু গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেস্পন্সিবিলিটিজ (এফডিএসআর)। এক শোক বার্তায় সংগঠনটি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে।
এর আগে একই দিন সকালে কিডনি রোগজনিত জটিলতায় মারা গেছেন কুমিল্লার প্রবীণ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এম এস আলম। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
সকাল ৭টায় কুমিল্লার সিডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) কুমিল্লা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আতাউর রহমান জসীম।
তিনি বলেন, ডা. এম এস আলম দীর্ঘ দিন যাবৎ কিডনি রোগজনিত জটিলতায় ভূগছিলেন।
তিনি তাঁর স্ত্রী লায়লা আঞ্জুমান আলম, এক ছেলে আইনজীবী সাইফুল আলম, তিন মেয়ে শামীমা আলম, ডা. শাহিদা আলম ও ডা. সায়লা আলমসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ডা. এম এস আলম ১৯৬৭ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস (বিসিপিএস) থেকে দ্বিতীয় ব্যাচে এফসিপিএস ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি কুমিল্লার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দায়িত্ব পালন শেষে কুমিল্লা সদর হাসপাতাল থেকে সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। রোগী কল্যাণ পরিষদ কুমিল্লার আজীবন সদস্য, কুমিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ছিলেন।
কুমিল্লা বিএমএ’র সায়েন্টফিক কমিটির দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ছিলেন ডা. এম এস আলম। এছাড়া তিনি সমানতালে কাজ করেছিলেন প্রকাশনা কমিটিতে। চিকিৎসা সেবায় তাঁর অনস্বীকার্য অবদানের জন্য ২০১৭ সালে তাকে ‘গুণীজন সম্মাননা’ প্রদান করে বিএমএ।
ডা. এম এস আলমের নিকটতম আত্মীয়, কুমিল্লার প্রবীণ রাজনীতিবিদ এডভোকেট আফজল খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রেণী-পেশার মানুষ তাঁর জানাযায় উপস্থিত ছিলেন।
এই চিকিৎসকের মৃত্যু গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
এদিকে আজ শনিবার (২৯ মে) সকালে ব্রেইন টিউমার অপারেশন পরবর্তী জটিলতায় চলে গেলেন ডা. মো. মামুনুর রহমান সাগর।
সকাল আটটার দিকে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ মেডিকেল অফিসার।
ডা. মামুনুর রহমান ছিলেন রংপুর মেডিকেল কলেজ ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
এই চিকিৎসকের মৃত্যু গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেস্পন্সিবিলিটিজ (এফডিএসআর)। এক শোক বার্তায় সংগঠনটি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে।
Discussion about this post