হার্টবিট ডেস্ক
২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের লক্ষ্যে আগামী ২/১ দিনের মধ্যে ওয়েবসাইটের লক খুলে দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস। এর পর থেকেই শিক্ষার্থীরা অনলাইনে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ক্লিয়ারেন্সসহ কলেজের সঙ্গে নিজেদের দেনা-পাওনা সম্পন্ন করতে হবে তাদের।
ফরম পূরণকে একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অফিস জানিয়েছে, এরই মধ্যে অনেকের ফরম পূরণ সম্পন্ন হয়েছে। আর যারা পারেনি তারা বিলম্ব ফি দিয়ে এটি করে নেবে। পরীক্ষার দুই-তিন আগেও তারা ফরম পূরণের সুযোগ পাবেন।
গত ২৭ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত ৪২টি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস তৃতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে মার্চের ১০ তারিখ শেষ হয়েছিল এ পরীক্ষা। করোনা পরিস্থিতে কয়েকবার পেছানোর পর অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাবি মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির চেয়ারম্যান ডা. শাহরিয়ার নবী বলেন, ‘আরও আগেই দিতে পারতাম। কিন্তু পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিস বন্ধ থাকায় দেরি হচ্ছিল। বিশেষ প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রকের অফিস খুলে ফলাফলের ব্যবস্থা করেছি।’
তবে এরই মধ্যে ফরম পূরণের সময় অতিক্রম করায় ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে ২০১৫-১৬ সেশনের এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে দেখা দিয়েছে সংশয়। এ ছাড়া ঢাবি থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি মর্মে কলেজ থেকে দেওয়া বক্তব্যে তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।
জানতে চাইলে ডা. শাহরিয়ার নবী বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এরই মধ্যে অনেকের হয়ে গেছে। যারা মাত্র পাস করেছে তারা লেট ফি দিয়ে এটি সম্পন্ন করে নেবে। নিয়ন্ত্রণ অফিসকে অবহিত করা আছে, অফিস তো বন্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই করোনা আক্রান্ত। ফলে খুব সীমিত আকারে কাজটা চলমান আছে।… পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে লকটা খুলে দিতে হবে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই এটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। তাতেই তারা অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবে। এটা পরীক্ষার দুই দিন তিন আগেও চলতে থাকবে। এ ক্ষেত্রে তাদের সর্বাগ্রে কলেজ থেকে ক্লিয়ারেন্স নিশ্চিত করতে হবে। তাদের খেয়াল রাখতে হবে, কলেজ থেকে যেন কোনো সমস্যা না হয়। তাহলে আমাদের কিছুই করার থাকবে না।’
এ ছাড়া ডিন অফিসের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় কোনো কোনো কলেজে ১৩-১৪, ১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থীরা প্রফ পরীক্ষায় বসার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাচ্ছেন না, যাদের সব কিছু ক্লিয়ার আছে।
এ ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ কী—জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে ১৫-১৬ সেশনের ছেলে-মেয়েরা বসার সুযোগ পেয়ে গেলো, সেখানে তাদের বঞ্চিত হওয়ার কোনো কারণ নাই। নিয়ম অনুযায়ী তারা এমনিতেই বসতে পারবে। কলেজের সঙ্গে তাদের দেনা-পাওনা সম্পন্ন হলেই হলো। যেমন ধরেন—ক্লিয়ারেন্স, ডিপার্টমেন্টাল ক্লিয়ারেন্স ও টিউশন ফি ক্লিয়ার থাকা।
Discussion about this post