হার্টবিট ডেস্ক
দ্বিতীয়বারের মতো চালু হওয়া সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতালে ১৭ দিনে ৭০ জনের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) হাসপাতালের সমন্বয়ক জামাল উদ্দিন এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, পুনরায় হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হওয়ার পর বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৫০ জন রোগী। এছাড়া সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৩ জন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৬ জন রোগী। হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নেওয়া ৫-৬ জন রোগীকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে চমেক হাসপাতালে।
জামাল উদ্দিন জানান, জনগণের টাকায় পরিচালিত এই হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপোর্টসহ বিনামূল্যে মেডিক্যাল টেস্ট, এক্স-রে সুবিধা, সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সেবা ও ওষুধ দেওয়া হয় রোগীদের, সরবরাহ করা হয় খাবারও। কয়েকটি বেডে সংযুক্ত রয়েছে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা। একজন রোগী ভর্তি হলে তার চিকিৎসার সব ব্যবস্থাই এখানে রাখা হয়েছে।
সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন ১০ জন চিকিৎসক, ৮ জন নার্স ও ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক।
গত ১৩ এপ্রিল নগরের পাহাড়তলী সাগরিকা রোডে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুতল ভবনে ৭০ শয্যার এই হাসপাতাল উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন। হাসপাতাল পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে নগরের পতেঙ্গায় ১০০ শয্যার অস্থায়ী সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু অর্থ সংকটে তিন মাস পর হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ অবস্থায় নতুন হাসপাতাল চালুর জন্য প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হোস্টেল হিসেবে ব্যবহৃত সাগরিকা রোডের ভবনটি বিদ্যানন্দকে দেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর গত বছরের ২০ নভেম্বর ওই ভবনে ৫০ শয্যার ‘বিদ্যানন্দ মা ও শিশু হাসপাতাল’ যাত্রা শুরু করে। যার ২১ শয্যা জেনারেল ওয়ার্ড, ১২ শয্যা ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড, ১৬ শয্যা কোভিড ওয়ার্ড ও এক শয্যা ডেন্টাল ইউনিট হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে সেই হাসপাতালটিকেই আবার সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে।
Discussion about this post