অনেকেই দুঃশ্চিন্তা বা টেনশনজনিত মাথাব্যথায় ভোগেন। এর ফলে কপালের দুই পাশে এবং মাথার পিছনে ও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এ ধরনের মাথাব্যথা হলে কারো কারো মনে হয়, মাথা চেপে ধরে আসছে। অনেকের মাসে প্রায় ১৫ দিন এমন ব্যাথা হয়। একবার শুরু হলে কয়েকদিন তা ৩০ মিনিট করে স্থায়ী হয়। দুঃশ্চিন্তা বা টেনশনজনিত মাথাব্যথা সাধারণত দিনের মাঝামাঝি সময়ে ধীরে ধীরে শুরু হয়।
টেনশনজনিত কারণে যদিও মাথাব্যথা তীব্র হয় তারপরও এটা শরীরের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয় । গবেষণায় দেখা গেছে, শতকরা ৮০ ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ টেনশনজনিত মাথাব্যথায় ভোগেন। এদের মধ্যে আবার শতকরা ৩০ জনের প্রতিদিনই এ ধরনের মাথাব্যথা থাকে।
কোন নির্দিষ্ট কারণে এ ধরনের মাথাব্যথা হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মানসিক চাপ, কাজ কিংবা পড়াশোনার চাপ, পারিবারিক কিংবা কোন সম্পর্কজনিত সমস্যার কারণে টেনশনজনিত মাথাব্যথা বেড়ে যায়। কারো কারো আবার ঘাড় এবং পিঠের মাংসপেশী শক্ত হয়ে থাকলেও মাথাব্যথা হয়।পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলে, উৎকণ্ঠা, ক্ষুধা, অবসাদ, মানসিক চাপ, শরীরে আয়রন লেভেল কমে গেলে অনেকের মাংসপেশী শক্ত হয়ে যায়।
টেনশনজনিত মাথাব্যথার কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, সবসময় ক্লান্ত বা বিরক্ত লাগে, কোন কিছুতে মনোযোগ আসে না, আলো বা শব্দ শুনলেও খারাপ লাগে, ঘাড়, পিঠ ব্যথা হয়। তবে টেনশনজনিত মাথাব্যথা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে যদি কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায় তাহলে সহজেই এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
মাথা ব্যথা শুরুর উপসর্গ দেখা দিলে মেডিটেশন করুন। রিলাক্স করার কিছু পদ্ধতি অনুসরন করুন-যেমন নিয়মিত ব্যয়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাথাব্যথা সারানোর চেষ্টা করুন যেমন- গরম পানিতে গোসল, আইস প্যাক ব্যবহার ইত্যাদি । তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাথাব্যথা যেহেতু মানসিক চাপের কারণে হয় তাই তা কমানোর চেষ্টা করুন। অনেক সময় মাথাব্যথা হলেই সবাই ওষুধ সেবন করেন। কিন্তু এটা মনে রাখবেন, ব্যথা কমানোর জন্য নিয়মিত পেইন কিলার খাওয়া ঠিক নয়। কারণ প্রতিটি ওষুধেরই কোন না কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। সূত্র : ওয়েবএমডি
Discussion about this post