অনলাইন ডেস্ক
ভারতে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ধরনটি অনেক বেশি সংক্রামক। মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাইরাসের নতুন ধরনটি প্রতিদিন দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে তিন গুণেরও বেশি মানুষকে সংক্রমিত করছে। ফলে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে।
তবে ভাইরাসের এই ভারতীয় ধরনের বিরুদ্ধে ফাইজার-বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ টিকা কার্যকর বলে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) জানিয়েছে ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, করোনার এই নতুন ধরনটি তুলনামূলকভাবে বেশি সংক্রামক হওয়ায় তা টিকা গ্রহণ করা ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা হলেও ভাঙতে সক্ষম। আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, এমন ব্যক্তিকেও আবার আক্রান্ত করতে সক্ষম ভাইরাসের ডবল মিউটেশান। তাই বিজ্ঞানীরা ভারতের করোনার এই ধরন নিয়ে বেশি চিন্তিত।
অবশ্য ইসরয়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হেজি লেভি বলছেন, ভারতে শনাক্ত করোনার এই নতুন ধরনটি প্রতিরোধে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কাজ করবে বলে তারা মনে করছেন।
তবে একইসঙ্গে তিনি জানান, ভাইরাসের এই ধরনের মোকাবিলায় ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা খানিকটা হলেও হ্রাস পাচ্ছে। অবশ্য সরকারি ভাবে দেশটি এখনও কিছু জানায়নি।
অন্যদিকে করোনার ভারতীয় ধরনের বিরুদ্ধে ফাইজারের টিকাকে কার্যকর বলে দাবি করা হলেও গবেষণার পুরো বিষয়টি প্রকাশ করার বিষয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের অনুরোধে তাৎক্ষণিক ভাবে সাড়া দেয়নি ইসরায়েলি মন্ত্রণালয়।
এছাড়া করোনার এই ধরনটি নিজ নিজ দেশে শনাক্ত হওয়ায় তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডও।
করোনার অতিসংক্রামক ব্রিটেন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের পর এবার বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতীয় ধরন। ভারতে প্রথমে শনাক্ত হওয়া এই ধরন নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্বের অনেকে দেশেই।
বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের টিকা করোনার ভারতীয় ধরনের বিরুদ্ধে খুব একটা কার্যকর নয়। তাই হেজি লেভির আশ্বাসে নতুন আশা দেখা দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গত মার্চ মাসের শেষের দিকে ভারতে করোনার নতুন ও ডবল মিউটেশনের খোঁজ মেলে। এরপর থেকেই দেশটিতে সংক্রমণ বাড়তে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে, এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে এসে যা এখন চরম আকার ধারণ করেছে। নতুন প্রজাতির ‘ই৪৮৪কিউ ও এল৪৫২আর’র প্রভাবেই সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Discussion about this post