হার্টবিট ডেস্ক
দেশের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। প্রতিষ্ঠানটির করোনা ইউনিটে বর্তমানে ১০০টিরও বেশি বেড সংখ্যা ফাঁকা রয়েছে।
রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মেডিভয়েসের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক।
তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমে গেছে। একা সপ্তাহ আগে যেখানে করোনার সবগুলো বেড অর্থাৎ ৮০০টি বেডেই রোগী থাকতো। সেখানে এখন ৭০০ জন রোগীও ভর্তি নেই। বর্তমানে ১০০টিরও উপরে বেড সংখ্যা খালি থাকছে।’
জনগনের সচেতনতা বাড়ার কারণে সামনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমে যাওয়ার প্রত্যাশা জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, এখন বেড সংখ্যা খালি থাকায় কোনও রোগীকে আর ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। এছাড়া শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটেও বেশ কিছু সংখ্যক বেড খালি আছে। সেখানেও রোগী ভর্তি করা হচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেলে আইসিইউ সংকট নতুন কোনও বিষয় নয় উল্লেখ করে পরিচালক বলেন, ‘আমাদের ২০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। তবে আইসিইউ সংকট থাকলেও এর চাহিদার কোনও কমতি নেই বরং দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। সুতরাং আমরা যতই আইসিইউ তৈরি করি চাহিদা তার চেয়ে বেশিই থাকবে। ফলে এখানে আইসিইউ সংকট কি পরিমাণ আছে সেটি চিন্তা না করে সমাধানে পথ বের করা উচিত।’
ঢামেক পরিচালক বলেন, আইসিইউ প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব রোগীদেরকে অগ্রাধীকার দেওয়া হয়। নিজস্ব যেসব রোগীদের আইসিইউ প্রয়োজন তাদেরকে আগে আইসিইউর ব্যবস্থা করা হয়। এরপর যদি খালি থাকে, তখন বাইরে থেকে যদি কোনও রোগী আসতে চায়, তখন সিরিয়াল অনুযায়ী তাদেরকে আইসিইউতে আনা হয়।’
তবে এই সুযোগটা খু্বই কম সময়ের জন্যই থাকে বলে জানান ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক।
এদিকে আজ রোববার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে ২৫৭টি ল্যাবরেটরিতে ১৭ হাজার ৯২৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয় ১৯ হাজার ৪০৪টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৬৭টি। পরীক্ষায় আরও তিন হাজার ৬৯৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষার হার ১৯ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৫৩ শংতাশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
Discussion about this post