হার্টবিট ডেস্ক
২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) থেকেও যেন নেই। উদ্বোধনের পর প্রায় এক বছর হতে চললেও এখনো সেবা পায়নি কেউ।তলাবদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে ইউনিটটি।
করোনা দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা এ জেলায় রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকায় সংকটাপন্ন রোগীরা আইসিইউর অভাবে মারা যাচ্ছেন। অথচ ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন হলেও আইসিইউ পাচ্ছে না এ অঞ্চলের মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের মার্চ থেকে জেলায় কোভিডের প্রকোপ বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কোভিড সেবা দেওয়ার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৩০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়। পর্যায়ক্রমে হাসপাতালটিতে ৭৫ শয্যায় আইসোলেশন উন্নীত করা হয়। গত বছর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে ১১ জন কোভিড পজিটিভ রোগী মারা যান।
সোমবার হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৫ জন। এর মধ্যে ১০ জন পজিটিভ রোগী রয়েছেন। গত বছরের ১৭ মে হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন করা হয়। এরপর ১১ মাস অতিবাহিত হতে চললেও চালু করা সম্ভব হয়নি আইসিইউ সেবা। ইতোমধ্যে আইসিইউ সেবা চালুর জন্য একজন চিকিৎসক ডা. আসিফ ইকবাল ও পাঁচজন নার্সকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, ১০ শয্যার আইসিইউ চালু করতে একজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিৎসক, তিনজন কনসালট্যান্ট ও চয়জন মেডিক্যাল অফিসার প্রয়োজন। মূলত জনবলের কারণে ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, আইসিইউর পুরোপুরি ১০ শয্যা চালু না করা গেলেও খুব শিগগিরই দুই শয্যা চালু করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনার সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটরের চেয়ে অক্সিজেন গুরুত্বপূর্ণ। নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সেবার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা কয়েকজন রোগীর স্বজন জানান, হাসপাতালটিতে আইসিইউ থেকেও তারা তার সুফল পাচ্ছেন না- তাদের ছুটতে হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামের দিকে। এটি দুঃখজনক।
হাসপাতালের এক কর্মচারী জানান, গত কয়েকদিন আগে আইসিইউর অভাবে তার সামনেই একজন মানুষকে মরতে দেখেছেন তিনি।
Discussion about this post