হার্টবিট ডেস্ক
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগে ইনডোর সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের দুই খেলোয়াড়ের হাঁটুর এসিএল রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি।
সোমবার (২৬ মে) অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ ফরহাদ এবং সহযোগী অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এ সার্জারি করেন।
এসিএল হলো হাঁটুর মধ্যে থাকা প্রধান চারটি লিগামেন্টের একটি, যা হাঁটুকে সামনে-পেছনে নড়াচড়া করতে এবং স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ বাঁক নেওয়া, দৌড়ানো বা লাফিয়ে পড়ে ভুলভাবে নামার কারণে ছিঁড়ে যায়। এসিএল রিকনস্ট্রাকশন সার্জারির মাধ্যমে হাঁটুর ভেতরের ছেঁড়া লিগামেন্ট নতুন করে প্রতিস্থাপন করা বা পুনরায় তৈরি করা হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রত্যেক রোগীর হাঁটুতে এক ঘণ্টাব্যাপী পৃথক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এসিএল রিকনস্ট্রাকশন সম্পন্ন করা হয়।
অপারেশন শেষে বিএমইউর প্রক্টর ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের স্পোর্টস মেডিকেল কমিটির চেয়ারম্যান ডা. শেখ ফরহাদ জানান, ‘দুই খেলোয়াড়ই বর্তমানে সুস্থ আছেন এবং তারা বিএমইউর চিকিৎসাসেবার গুণগত মানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। আশা করছি, দ্রুতই তারা মাঠে ফিরে আসবেন।’
তিনি আরও জানান, বিএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে তুলনামূলকভাবে কম খরচে এই ধরনের উচ্চমানের সার্জারি করা সম্ভব হচ্ছে।
অপারেশন কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে বিএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী, অতিরিক্ত পরিচালক ডা. মো. শাহিদুল হাসান, উপ-পরিচালক ডা. একেএম আল মিরাজ ও উপ-পরিচালক ডা. মাহাবুবুল ইসলাম খন্দকার প্রশাসনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
প্রসঙ্গত, বিএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগে এর আগেই প্রতিদিন দুই শিফটে বহির্বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ সেবা চালু ছিল। এবার শুরু হলো রোগী ভর্তি ও অপারেশন কার্যক্রমও।
বিএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল বর্তমানে বিভিন্ন বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে—হেপাটোবিলিয়ারি অ্যান্ড প্যানক্রিয়েটিক ডিজিজ, হেপাটোলজি অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার, কার্ডিওভাসকুলার অ্যান্ড স্ট্রোক সেন্টার, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজি সেন্টার, এক্সিডেন্ট অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সেন্টার এবং রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টার।
Discussion about this post