হার্টবিট ডেস্ক
করোনাভাইরাস শনাক্তে দেশেই কিট উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। সংগঠনটির নেতৃত্বে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় উদ্ভাবিত এই কিটে স্বল্প খরচ এবং বর্তমানে ব্যবহৃত কিটের তুলনায় ১০ গুণ নির্ভুল ফল পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিএসএমএমইউর বি ব্লকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
আলোচকরা বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্রুত ও নির্ভুলভাবে শনাক্তকরণ খুবই গুরত্বপূর্ণ। করোনা মহামারি এখনো চলমান এবং বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক শনাক্তকরণ কিট সম্পূর্ণটাই আমদানি করতে হয়। এটি দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। এছাড়াও করোনাভাইরাস ঘনঘন তার জিনগত পরিবর্তন ঘটাচ্ছে, যার ফলে বাণিজ্যিক কিটগুলোর শনাক্তকরণ সংবেদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে যা অনেক ক্ষেত্রে ভুল ফলাফল দিতে পারে।
জীনগত পরিবর্তনের ফলে যদিও সংক্রমণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে যেকোনো সময় নতুন ওয়েভ সৃষ্টির সম্ভাবনা থেকে যায়।
এদিকে, করোনা শনাক্তকরণে আরটিপিসিআর পরীক্ষাকে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়। কিন্তু এই ধরনের কিট অত্যন্ত ব্যয়বহুল। প্রতিটি পরীক্ষায় খরচ হয় আনুমানিক ৩০০০-৩৫০০ টাকা। যার বেশিরভাগই রাষ্ট্রকে ভর্তুকি দিতে হয়।
এ অবস্থায় দেশ ও কোভিড রোগীদের সহায়তার জন্য বিসিএসআইআরের নেতৃত্বে বিএসএমএমইউ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় উদ্ভাবিত হয়েছে ‘BCSIR-COVID-KIT’। এই কিটের মাধমে স্বল্প খরচে করোনা শনাক্ত করা যাবে। একইসঙ্গে এই কিটের ন্যূনতম শনাক্তকরণ ক্ষমতা (LOD) ১০০ কপি ভাইরাস/মি.লি, যেখানে অন্যান্য আমদানিকৃত কিটগুলির LOD ১০০০ কপি ভাইরাস/মি.লি.। অর্থাৎ বিসিএসআইআর করোনা কিট দিয়ে খুব ন্যূনতম ভাইরাসকেও শনাক্ত করা যাচ্ছে। ফলে রোগের উপসর্গ প্রকাশের আগেই ভাইরাসের উপস্থিতি জানা সম্ভব হবে।
Discussion about this post