হার্টবিট ডেস্ক
মেরুদণ্ডের সমস্যা বা নিউরোস্পাইন চিকিৎসায় বাংলাদেশে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র প্রচারের অভাব এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় রোগীরা দেশের বাহিরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত নিউরোস্পাইন বিষয়ক সম্মেলনের শেষদিন বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব কথা তুলে ধরেন নিউরোসার্জনরা।
সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, নিউরোস্পাইন সার্জারি খুবই জটিল। এক একটি সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন করতে অনেক সময় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় লেগে যায়। এমন জটিল অস্ত্রোপচার করতে অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন। চিকিৎসকরা তা-ই করছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি না হওয়ায় রোগীরা দেশের বাহিরে চলে যাচ্ছে। নিউরোস্পাইনের চিকিৎসায় দেশ স্বনির্ভর হলেও চিকিৎসকরা তাদের সাফল্য দেখাতে পারছেন না। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে মানসম্মত অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এসব সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়।
চিকিৎসকরা আরও বলেন, নিউরোস্পাইন সমস্যা অনেকের হতে পারে। এর জন্য কোনো বয়স নেই। তাই মেরুদণ্ডে যেকোনো সমস্যা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) শুরু হয় দুইদিনব্যাপি নিউরোস্পাইন সম্মেলন। সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে মরদেহের ওপর স্পাইনাল ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের কাজ হাতে কলমে শেখানো হয়। পরে সন্ধ্যায় রেডিসন ব্লুতে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
এসময় মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই স্বাস্থ্য সেক্টরে বিভিন্ন উন্নয়ন হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়নের ফলে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীর সংখ্যা কমেছে। দেশের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে ওষুধ শিল্পের বিপ্লব ঘটেছে। দেশের ওষুধ বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এসব শিল্পের দ্বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই উন্মুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ নিউরোস্পাইন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপের সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডিন ও সোসাইটি অফ নিউরোসার্জনসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।
Discussion about this post