হার্টবিট ডেস্ক
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৯টি মামলায় মোট ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
আজ রোববার (০৬ নভেম্বর) ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ একযোগে সকল অঞ্চলেই এ অভিযান পরিচালনা করেছে। পুরো নভেম্বর মাস জুড়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থ মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আটটি মামলায় চার লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এ ছাড়া অঞ্চল-১ এর আওতাধীন উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে ফাঁকা প্লট, ড্রেন, ঝোপের ভেতর কিউলেক্স ও এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় পাঁচটি মামলায় মোট এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিনটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
অঞ্চল ৯ ও ১০-এর আওতাধীন ভাটারা ও আফতাবনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় চারটি মামলায় এক লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল ৩-এর আওতাধীন এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে একটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল ৪-এর আওতাধীন পাইকপাড়া এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে প্রায় ১১০টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়। ফুটপাত ও রাস্তায় মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় চারটি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল ২-এর আওতাধীন মিরপুর মডেল থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। এতে লার্ভা পাওয়ায় দুইটি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এ ছাড়াও ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগে. জেনা. মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লে. কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
Discussion about this post