হার্টবিট ডেস্ক
মেডিকেল কলেজগুলোর বিশ্ব ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের (ডব্লিউএফএমই) স্বীকৃতির জন্য আমাদের বিদ্যমান পদ্ধতির ব্যাপক পরিবর্তন করতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান। তিান বলেন, এর আলোকে আবেদন করলে তাদের স্বীকৃতি পেতে সহজতর হবে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহুতল মাল্টি পারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান বলেন, বিশ্ব ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের (ডব্লিউএফএমই) স্বীকৃতি সম্পর্কে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের অধ্যাপক পর্যায়ের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডব্লিউএফএমই স্বীকৃতির পূর্বে তারা দেখবে যে, এখানে (মেডিকেলে) আলাদা কোনো অবকাঠামো রয়েছে কিনা? কাজেই একই অবকাঠামো দিয়ে এটা করা উচিত হবে না। কারণ দেশে ১১৫ এর অধিক মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো মেডিকেলের কলেজের পড়াশোনার মান ভালো। কিন্তু কিছু মেডিকেল কলেজগুলোর পর্যাপ্ত শয্যা, চিকিৎসক, যন্ত্রপাতি ও রোগী নেই। কাজেই তারা আমাদের স্বীকৃতির যে পদ্ধতি আছে, এর মধ্য দিয়েই যাবে।’
অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান বলেন, এই স্বীকৃতি পদ্ধতির মধ্যে বেশ কিছু শিথিলতা রয়েছে, যার মধ্যে দিয়েই আমরা মেডিকেল কলেজগুলোকে কার্যক্রম চালাতে দিচ্ছি। দেশে আরও মেডিকেল কলেজ তৈরি হচ্ছে। যদি এই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে কাজ করি, তাহলে কোনো মেডিকেলই স্বীকৃতি পাবে না। এই স্বীকৃতি পদ্ধতি তাদের কাছে বিবেচ্য হবে না।
সুতরাং মেডিকেল কলেজগুলোর স্বীকৃতির জন্য আলাদা পদ্ধতি চালু করতে হবে, যা তাদের (ডব্লিউএফএমই) মানের প্রশ্নে উত্তীর্ণ হবে।
স্বীকৃতির দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট দেশের মেডিকেল শিক্ষার মান যাচাইয়ের লক্ষ্যে পরিদর্শক নিয়োগ দেয় বিশ্ব ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন। এক্ষেত্রে আমরা যাদেরকে পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ দিবো, তাদেরকে অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। তাই তাদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা যখন প্রশিক্ষণ দিয়ে মেডিকেল কলেজকে যোগ্য বলে বিবেচনা করবো, তখন তাদের দল এসে আবার পর্যবেক্ষণ করবে যে, আমরা যা বলছি সেটা যৌক্তিক কিনা? কাজেই স্বীকৃতির জন্য প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো, জনবল লাগবে। এগুলো সম্পন্ন হলে দরখাস্ত করার উপযুক্ত হবো। এ ব্যাপারে দেশের বাইরে থেকে এ বিষয়ে আমাদের আরও জানতে হবে। আমরা শীঘ্রই এটা নিয়ে সামনে অগ্রসর হবো।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, চিকিৎসা শিক্ষার জন্য বিশ্ব ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন সম্পর্কে জাতীয় অধ্যাপক মাহমুদ হাসান স্যারের সঙ্গে স্বীকৃত পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম। মন্ত্রী মহোদয় ইতিমধ্যে আমাদের বলেছেন, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
তিনি বলেন, বিএমডিসির বর্তমান সভাপতি মন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে যা যা করণীয়, তা করতে হবে। এটা দ্রুত সময়ে করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ডা. শিশির এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমরা এই কাজটাকে অগ্রসর করতে চাই।
Discussion about this post