ড. রাশিদুল হক
ক্যানসার জটিল একটি রোগ। স্তন ক্যানসার বিশ্বব্যাপী মহিলাদের মধ্যে ক্যানসার সম্পর্কিত মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এবং প্রতি বছর প্রায় ১৪ লাখ নারী আক্রান্ত হচ্ছেন এ রোগে। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রতি আটজনের মধ্যে একজন নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। বাদ যাচ্ছে না পুরুষরাও; তাদের আক্রান্তের সংখ্যা অবশ্য তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বাংলাদেশেও নারীদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের প্রাধান্য অনেক বেশি।
দেশের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ক্যানসার রিসার্চ অ্যান্ড হাসপাতালের ক্যানসার রেজিস্ট্রারের সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, বাংলাদেশে স্তন ক্যানসারের হার গত ১০ বছরে প্রতি এক লাখ নারীর মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬.৪ থেকে ৩০.১ শতাংশে।
মানুষের স্তন ক্যানসার হওয়ার জন্য একাধিক কারণ রয়েছে-জিনগত, পরিবেশগত, বিকিরণজনিত (এক্স-রে, গামা রশ্মি, রেডন), খাদ্যজনিত, রাসায়নিক দূষণ, দীর্ঘমেয়াদি ধূমপান ইত্যাদি। এ ছাড়া সাম্প্রতিক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে দেখা গেছে, মুষ্টিমেয় কিছু ভাইরাস স্তন ক্যানসারের জন্য দায়ী। এ ভাইরাসগুলো হলো মাউস ম্যামারি টিউমার ভাইরাস (MMTV), বোভাইন লিউকেমিয়া ভাইরাস (রেট্রোভাইরাস), হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (ডিএনএ ভাইরাস) এবং ঈপ্সটিনবার ভাইরাস (ডিএনএ ভাইরাস)। MMTV-র মানবসংস্করণ হলো, হিউম্যান ম্যামারি টিউমার ভাইরাস (HMTV) বা হিউম্যান বিটা-রেট্রোভাইরাস (HBRV), মানুষের সঙ্গে যার বসবাস প্রায় কয়েক হাজার বছরের।
রেট্রোভাইরাসগুলোর একটি ইউনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ‘রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ’ এনজাইমের সাহায্যে ভাইরাসগুলো তাদের আরএনএ জিনোম ডিএনএ অণুতে রূপান্তরিত হয়ে মানবজিনোমের সঙ্গে মিশে যেতে পারে; এমনকি চিরকালের জন্য। এভাবেই স্থায়ীভাবে মানব ডিএনএ মানচিত্রের তিন বিলিয়ন নিউক্লিওটাইডের মধ্যে ৮ শতাংশজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ভাইরাসের রূপান্তরিত-ডিএনএ, যা আমরা বহন করে চলেছি বংশপরম্পরায়।
ওইসব বাহ্যিক ডিএনএ-ক্রমের মধ্যে লুকায়িত আছে নানা ভাইরাস-অংকোজিন, যা স্তন ক্যানসারসহ বিভিন্ন ক্যানসারে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। ক্যানসারের ক্ষেত্রে এটি অবশ্যি একটি ভয়াবহ চিত্র। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ১০ শতাংশ স্তন ক্যানসার সরাসরি জিনগত পরিব্যক্তির কারণে হয়ে থাকলেও বিজ্ঞানীদের কাছে এ মৌলিক বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে সর্বাধিক। কারণ, পরিবেশগত যেসব ফ্যাক্টর স্তন ক্যানসারের কারণ হিসাবে চিহ্নিত, বস্তুত সেগুলো মানবজিনোমের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া ঘটিয়েই তাদের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই গুরুত্বের নিরিখে স্তন ক্যানসারের কারণ হিসাবে শুধু জিনগত ব্যাপারটি নিয়েই আমার এ প্রবন্ধে আলোকপাত করা হয়েছে।
দেহের যে কোনো ধরনের ক্যানসারের মূলে রয়েছে কোষচক্রের সব সৃষ্টিছাড়া ঘটনাগুলো। সেখানেই ক্যানসার উৎপত্তির রহস্য। মানুষের দেহে এপিথেলীয় বা আচ্ছাদনীয় কোষগুলোর (যেমন, ত্বকের বাইরের স্তর) স্থায়িত্ব বেশ কম, তাই সেগুলো গড়ে দুই থেকে পাঁচ দিনের ব্যবধানে নতুন কোষ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। তবে দেহের বিশেষ কিছু কোষ, যেমন কর্টিক্যাল নিউরন বা কার্ডিয়াক পেশির কোষগুলো অনন্তকাল অতিবাহিত করে। তাদের আর বিভাজন হয় না। তাই সেখানকার কোষগুলোর ক্ষয়প্রাপ্তিতে বা মৃত্যুতে তাদের নতুন কোষ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা আর নেই।
সাধারণত কোষ বিভাজনের জন্য একটি সূত্রপাতের প্রয়োজন হতে পারে, সেটি কোষের কোনো বাহ্যিক ঘটনা (যেমন আঘাত পাওয়া, পুড়ে যাওয়া ইত্যাদি), কোষের অপমৃত্যু, উদ্দীপনা বা কোনো হরমোনের তাগাদা। একটি কোষ যখন মৃত্যুর কাছাকাছি আসে, তখন গ্রোথ হরমোন নিঃসরণের মাধ্যমে পড়শি কোষগুলোকে তাগাদা দেয়, যেন তারা দ্রুততার সঙ্গে কোষ বিভাজনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। বলা বাহুল্য, একটি কোষচক্র সম্পন্ন করতে তো প্রায় ২৪ ঘণ্টা লেগেই যায় (অবশ্য এ তথ্যটি উদ্ধৃত হয়েছে সেল কালচার গবেষণা থেকে)। এভাবে সৃষ্টি হয় নতুন কোষের, প্রতিস্থাপিত করে পুরোনোদের। কিন্তু কোষ বিভাজন যখন হয়ে যায় অনিয়ন্ত্রিত, তখনই সৃষ্টি হয় টিউমার পিণ্ড ও ক্যানসারের। পুরুষ ও স্ত্রীর স্তনের কোষগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই ক্যানসারের জিনগত কারণগুলো বিস্তারিত বর্ণনার আগে কোষচক্র সমন্ধে ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন।
কোষচক্র হলো চার পর্যায়ের একটি প্রক্রিয়া, যেখানে কোষটি আকারে বৃদ্ধি পায় (এ১ পর্যায়), তার ডিএনএ অনুলিপিত হয় (ডিএনএ সংশ্লেষণ বা এস পর্যায়), বিভাজনের জন্য প্রস্তুতিকরণ (এ২ পর্যায়) এবং অবশেষে বিভাজন (মাইটোসিস বা এম পর্যায়)। এ১, এম ও এ২ পর্যায় একত্রে ইন্টারফেজ হিসাবে ধরা হয়, যা কোষ বিভাজনের মধ্যবর্তী সময়টাকে বোঝায়। সাইক্লিননির্ভর প্রোটিন কাইনেজ (যেমন, Cdk4) একটি গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম, যা সাইক্লিন প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোষচক্রের অগ্রগতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। একটি কোষ যেসব উদ্দীপনা ও প্রতিরোধমূলক বার্তা পায়-তার ভিত্তিতে কোষটি সিদ্ধান্ত নেয় যে, এটি কোষচক্রে প্রবেশ করবে এবং বিভক্ত হবে কিনা। যেসব প্রোটিন কোষ বিভাজনকে উদ্দীপিত করে; তারা চারটি গ্রুপে শ্রেণিবদ্ধ যেমন-গ্রোথ ফ্যাক্টর, গ্রোথ ফ্যাক্টর রিসেপ্টর, সিগন্যাল ট্রান্সডিউসার এবং জিন-নিয়ন্ত্রণকারী প্রোটিন, অর্থাৎ ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর।
গ্রোথ ফ্যাক্টরের বাঁধনে একটি উদ্দীপনামূলক সংকেত গ্রোথ-রিসেপ্টরকে সাময়িকভাবে সক্রিয় করে তোলে, যা নির্দিষ্ট সংকেত সংবহনের মাধ্যমে কোষাভ্যন্তরে ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টরগুলোকে সক্রিয় ও উজ্জীবিত করে। ফলে নিউক্লিয়াসের মধ্যে ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টরগুলো প্রোটো-অংকোজিনসহ (যেমন Myc, Ras, Src, Fos, HER2) কোষ-বিভাজনে জড়িত জিনগুলোর প্রতিলিপন (ট্রান্সক্রিপশন) প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং তাদের MRNA-গুলোর জেনেটিক কোড অনুযায়ী সংশ্লেষিত হয় প্রোটিন। Cdk সেসব প্রোটিনগুলোকে ফসফোরিলেশনের মাধ্যমে সক্রিয় করে। প্রোটো-অংকোজিন হলো একটি স্বাভাবিক জিন, যা মিউটেশন বা বর্ধিত অভিব্যক্তির কারণে পরিণত হতে পারে একটি অংকোজিনে এবং এটি ক্যানসার সৃষ্টির জন্য দায়ী। প্রায় ৪০টির মতো প্রোটো-অংকোজিন অদ্যাবধি চিহ্নিত হয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি প্রোটো-অংকোজিনের মিউটেশন সরাসরি বিভিন্ন ক্যানসারের জন্ম দিতে পারে। ERBB2 বা HER2-সহ বেশ কিছু প্রোটো-অংকোজিন স্তন ক্যানসারের জন্য দায়ী।
টিউমার-দমনকারী জিন হলো সেইসব জিন, যাদের কার্যকারিতা হারানোর ফলে কোষের ম্যালিগন্যান্সি বৃদ্ধি পায়। কোষে টিউমার-দমনকারী জিনের কাজ হচ্ছে মূলত DNA মেরামত, DNA-র সুরক্ষা, কোষের বিভাজন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি। স্তন ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে টিউমার-দমনকারী জিনগুলোর মধ্যে অনেক আলোচিত জিন হচ্ছে, BRCA1 (বিআরসিএ ১) ও BRCA2 (অংকোজিন বিআরসিএ ২)। এছাড়াও p53, p27, PTEN ও সেল সাইকেল চেকপয়েন্ট কাইনেজ (CHK2), রেটিনোব্লাটোমাজন জিনগুলোর মিউটেশন স্তন ক্যানসারের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। p53-কে জিনোম স্থিতিশীলতা ও সুরক্ষার অভিভাবক বলা হয়।
বিআরসি এ১ ও বিআরসি এ২-জিন দুটো যথাক্রমে মানুষের স্তন ক্যানসার বিআরসিএ টাইপ-১ ও বিআরসিএ টাইপ-২ প্রোটিন তৈরি করে, যা নিখুঁতভাবে কোষচক্রের এম পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট ডিএনএ দ্বিসূত্রক-ভাঙনগুলোকে মেরামত করে। ডিএনএ মেরামতের জন্য CHK2, RAD51, FANCD2 (Fanconi anemia group D2 protein) এবং ATM (Ataxia telengiectasia mutated) প্রোটিনগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। বিআরসিএ ১/২ জিন দুটোর যে কোনো ক্ষতিকারক মিউটেশন বিআরসিএ ১/২ জিন বা তাদের প্রোটিনগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়, ফলে ডিএনএ-র ভাঙনগুলোকে মেরামত করা সম্ভব হয় না। এই মিউটেশনগুলো স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। স্তন ক্যানসার ছাড়াও বিআরসিএ ১/২ জিন-মিউটেশন ডিম্বাশয় ও প্রোস্টেট ক্যানসারের কারণও হতে পারে। স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে অঞগ একটি গুরুত্বপূর্ণ জিন/প্রোটিন। এই প্রোটিন একটি সেরিন/থ্রিওনিন কাইনেজ (এনজাইম), যা ডিএনএ মেরামতের সঙ্গে জড়িত প্রোটিন (p53, CHK2, বিআরসিএ১)দের ফসফোরিলেশনের মাধ্যমে সক্রিয় করে। স্বয়ং এই জিনটির মিউটেশনের ফলে স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা আরও ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়।
জিন মিউটেশনের কারণে স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তিত বিআরসি এ১/২ জিন একটি কার্যকর প্রোটিন তৈরি করতে সক্ষম হয় না, ফলে কোষ বিভাজন হয়ে যায় অনিয়ন্ত্রিত। বিআরসি এ১/২ জিনগুলোর অতিরিক্ত প্রকাশ যেমন-স্তন ক্যানসারের কারণ, তেমনি এদের ঘাটতিও স্তন ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। বিআরসি এ১ জিনের মিউটেশন ছাড়া আরও একটি বড় কারণ হচ্ছে, এই জিনটির প্রমোটর (promoter) অঞ্চলে অতিরিক্ত মিথিলেশন (CH ৩ গ্রুপের সংযোজন) হওয়ায় জিনগুলোর অভিব্যক্তি কমে যায়, ফলে তাদের প্রোটিনগুলোর প্রাপ্যতা অনেকাংশে হ্রাস পায়। উপরন্তু বিআরসি এ জিনের স্বাভাবিক প্রকাশের জন্য তাদের প্রমোটর অঞ্চলের একটি নিউক্লিওটাইড ক্রম বা N-box (CACNAG) খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একটি ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর GABP (GA-Binding Protein) যুক্ত হয়। এই বক্সটিতে মিউটেশনের কারণেও জিএডিপি প্রোটিন যুক্ত হতে না পারায় বিআরসি এ জিনের প্রকাশ হ্রাস পায়। বিজ্ঞানীরা আরও একটি বিস্ময়কর ঘটনা লক্ষ করেছেন; অর্থাৎ স্তনের টিউমারে MMTV রেট্রোভাইরাস, হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (HPV) এবং এপষ্টিন-বার ভাইরাস (EPV) গুলোর উপস্থিতি। তাদের বৃদ্ধির জন্যও যেহেতু স্তন কোষের জিএডিপি ব্যবহৃত, তাই স্বয়ং স্তন কোষগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য এ প্রোটিনটির প্রাপ্যতা ও প্রতিযোগিতার কারণে কমে আসে। স্তন ক্যানসারের টার্গেটেড থেরাপি হিসাবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ কর্তৃক বিআরসি এ১/২- মিউট্যান্ট কোষগুলোকে প্রতিহত করতে অনুমোদন পেয়েছে ওলাপ্যারিব অ্যান্টিবডি।
বিশ্বজুড়েই স্তন ক্যানসার নারীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসাবে বিবেচিত। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এটি সমানভাবে বিবেচ্য। স্তন ক্যানসার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে দ্রুত শনাক্ত করা যায়, তাহলে পুরোপুরি এর নিরাময় সম্ভব। স্তন ক্যানসার চিকিৎসায় অনেক অগ্রগতিও হয়েছে; যদিও সনাতনী ব্যবস্থায় সার্জারি, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, অ্যান্টিবডি থেরাপি ও হরমোন থেরাপি (এস্ট্রোজেন/এস্ট্রোজেন রিসেপ্টর-সম্পর্কিত) ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতির সংমিশ্রণে বিশ্বব্যাপী এখনো চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। অবশ্য এ পদ্ধতিগুলো বেশ ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। তবে চিকিৎসকদের ধারণা-স্তন ক্যানসার থেকে সম্পূর্ণ সেরে ওঠা সম্ভব। বাংলাদেশেও এই রোগের উন্নতমানের চিকিৎসা হচ্ছে। বর্তমানে ‘ফাস্ট ফরোয়ার্ড রেডিওথেরাপি’ নামক একটি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি স্তন ক্যানসার নিরাময়ে অনেক কার্যকর ভূমিকা রাখছে। মাত্র এক সপ্তাহে এই থেরাপি শেষ করা সম্ভব। জানা যায়, এই পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও সামান্য। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্র ও হাসপাতালগুলোতে হয়তো এই চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালেও এই আধুনিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হচ্ছে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের। নিঃসন্দেহে এই পদ্ধতিটি আশার আলো দেখাচ্ছে। সারা বিশ্বে অক্টোবর মাস ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা মাস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশও এই রোগটি সম্পর্কে সবার, বিশেষ করে নারীদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ থাকলে সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে মেমোগ্রাফি করুন; আক্রান্ত হলে যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নিন।
প্রফেসর ড. রাশিদুল হক : সাবেক উপ-উপাচার্য, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী; সাবেক অধ্যাপক, এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়, আটলান্টা, যুক্তরাষ্ট্র।
Discussion about this post