হার্টবিট ডেস্ক
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
সার্বজনীন ও আধুনিক মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২২’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি। এ বছর বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসের প্রতিপাদ্য ‘জলাতঙ্ক : মৃত্যু আর নয়, সবার সাথে সমন্বয়’ যথার্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জলাতঙ্ক একটি প্রাণিবাহিত রোগ। এ রোগে আক্রান্ত পশু বিশেষ করে শেয়াল, কুকুর, বাদুড় ইত্যাদির কামড়ে মানুষের মাঝে জলাতঙ্ক সংক্রমিত হয়। যথাসময়ে চিকিৎসা দেয়া না হলে জলাতঙ্ক প্রাণঘাতী হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে বর্তমানে প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ এ রোগে মৃত্যুবরণ করে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে জলাতঙ্ক শতভাগ নিরাময় করা সম্ভব।
তিনি বলেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধে সরকার জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন বিনামূল্যে সরবরাহ করছে। সাধারণ জনগণের মধ্যে জলাতঙ্কের হার পূর্বের তুলনায় শতকরা ৬৮ ভাগ কমে এসেছে। তবে অসচেতনতা, ভৌগোলিক অবস্থান, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য দেশে জলাতঙ্কের ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই জরুরি। একই সাথে পোষা ও বেওয়ারিশ কুকুর-বেড়ালকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দেয়াও জরুরি। সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জলাতঙ্ক নির্মূলে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
Discussion about this post