হার্টবিট ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে করোনাকালীন সময়ে কোনো রোগী বিদেশে চিকিৎসা নিতে যায়নি। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সংযোজনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আমরা চাই কোনো রোগী যেন বিদেশ না যায়।
সোমবার (২৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-ব্লকে অর্থপেডিক্স বিভাগে বাংলাদেশ স্পাইন সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত স্পাইন প্রতিস্থাপনের মৌলিক পদ্ধতি ‘বেসিক টেকনিকস অব স্পাইন ফিক্সেসন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, আমাদের দেশের চিকিৎসকরা ২০০৪-২০০৬ সালের দিকে ফিজি, নিউজিল্যান্ড প্রশিক্ষণ নিতে যেতেন। কিন্তু তারা কিছুই শিখে আসেননি। সে প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে। এখন আমরা প্রশিক্ষণের জন্য চিকিৎসক না পাঠিয়ে যারা প্রশিক্ষণ দেয় তাদের দেশে আনার ব্যবস্থা করেছি। পাঁচজন গিয়ে বিদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়ার চেয়ে পাঁচ জন বিদেশি প্রশিক্ষক দেশে এনে আমাদের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিলে বেশি ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্পাইস সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. খ. আব্দুল আওয়াল রিজভি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থপেডিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল আলম, বাংলাদেশ অর্থপেডিক্স সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোনায়েম হোসেন, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ভারতের বোম্বে হাসপাতালের স্পাইন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. আরভিন্ড জি কুলকারনি, ভারতের নিউ দিল্লির আইসিআইসির স্পাইন সার্জারি বিভাগের প্রধান কনসালটেন্ট ডা. গুরুরাজ সঙ্গদিমাথ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ স্পাইন সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
কর্মশালায় ৫৬ জন অর্থপেডিক্স সার্জন অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকরা দেশি বিদেশি স্পাইন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কর্তৃক পরিচালিত লাইভ সার্জারি প্রদর্শন করেন।
Discussion about this post