হার্টবিট ডেস্ক
অবশেষে রাতভর আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের দাবি মেনে নিয়েছে কেয়ার মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মাইগ্রেশন লেটারে স্বাক্ষর করেন ওই কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. পারভিন ফাতেমা।
রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সিলভিয়া মিম এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরামর্শে শিক্ষার্থীরা কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে এই মাইগ্রেশন দাবি করে আসছিলেন। তবে তাদের এই দাবি না মানায় শনিবার রাত থেকে প্রিন্সিপালকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।
এ বিষয়ে শিগগির স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে পুনরায় স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পড়ালেখার অচলাবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম অনিশ্চয়তায় মধ্যে ছিল মেডিকেল কলেজটির প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর।
সিলভিয়া মীম জানান, তিন সপ্তাহ ধরে আমরা আন্দোলন করছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছি, কিন্তু কোনো সমাধান হচ্ছিল না। গত সপ্তাহে পুলিশ কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে। তখন দাবি মেনে পেপারে স্বাক্ষর দেওয়ার কথা জানান কলেজের চেয়ারম্যান। শেষ মুহূর্তে এসে তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেন। ফলে আমরা আবারও আন্দোলনে নামতে বাধ্য হই।
জানা গেছে, বিএমডিসির শর্ত অনুযায়ী ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিতে নেই পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি, রোগী ও চিকিৎসক। শিক্ষক সংকট রয়েছে। কলেজ থেকে হাসপাতালের দূরত্বও অনেক।
কলেজ হাসপাতালটিতে ২৫০ শয্যা থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ১৭৯ শয্যা, সংকট রয়েছে আরও ৬১টি শয্যার।
এসব কারণে কেয়ার তৃতীয় ব্যাচ থেকে বিএমডিসি কলেজটির অনুমোদন বাতিল করে দিয়েছে। এর পরিপেক্ষিতে মাইগ্রেশনের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।
Discussion about this post