হার্টবিট ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, অ্যানাটমির মতো মৌলিক বিষয় যারা পড়ান, তাঁদের ত্যাগ সবচেয়ে বেশি। তাঁদের আর্থিক অবস্থা দুর্বল। পদ সৃষ্টি, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির মতো বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শনিবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর বিয়াম অডিটরেয়ামে অ্যানাটমিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের ১১তম জাতীয় সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক উত্তম কুমার পাল বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে কোনো বিভাগের শিক্ষকদের সংখ্যা নির্ভর করে ওই কলেজের মালিকপক্ষের ওপর। মালিকেরা ব্যবসায়ী মনোভাবাপন্ন। তাঁরা জ্যোষ্ঠ অধ্যাপক নিয়োগ না দিয়ে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ দিয়ে কাজ চালাতে চায়।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা বলেন, দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় চিকিৎসা শিক্ষার মৌলিক বিষয় অঙ্গব্যবচ্ছেদবিদ্যা বা অ্যানাটমির শিক্ষকের ঘাটতি প্রকট। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো এ বিভাগে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে না। এ ব্যাপারে প্রণোদনার উদ্যোগ নিলে সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক, ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, অ্যানাটমির মতো মৌলিক বিষয় যারা পড়ান, তাঁদের ত্যাগ সবচেয়ে বেশি। তাঁদের আর্থিক অবস্থা দুর্বল। পদ সৃষ্টি, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির মতো বিষয়ে নিজে উদ্যোগ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন এই চিকিৎসক।
সভায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের (নিন্স) পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তির পর প্রথম ক্লাস অ্যানাটমির। অ্যানাটমির শিক্ষকেরাই ক্লিনিশিয়ান তৈরি করেন। কিন্তু শিক্ষকতার বাইরে তাঁরা পেশাচর্চা করতে পারেন না, রোগী দেখেন না। স্বাস্থ্য খাত ক্লিনিশিয়ানদের চেনে, যাঁরা তাঁদের তৈরি করেন, তাঁদের চেনে না। পরিস্থিতির উন্নতিতে অ্যানাটমিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ ভূমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে অ্যানাটমির শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১২ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অধ্যাপক উত্তম কুমার।
Discussion about this post