হার্টবিট ডেস্ক
একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, হেপাটাইটিস বিশ্ব জুড়ে একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যার নাম। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ এই রোগে মারা যান। মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতি বছর বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালিত হয়। শুধু সচেতন হলেই ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে মানুষ মুক্ত থাকতে পারে।
কিন্তু দুঃখজনক হল হেপাটাইটিস আক্রান্ত প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই জানে না যে তারা এ রোগে আক্রান্ত। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যই সম্পদ বা স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল- এ কথা আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। কথাগুলো বাস্তব সত্য। কিন্তু আমরা বরাবরই স্বাস্থ্যের প্রতি চরম উদাসীন। সামান্য একটু সচেতন হয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে আমরা হেপাটাইটিস শুধু নয় যেকোনো অসুখ প্রকট আকার ধারণ করার আগে আরোগ্য লাভ করতে পারি।
সমস্যা হলো আমরা অনেক ক্ষেত্রেই রোগের উপসর্গকে গুরুত্ব সহকারে দেখি না। ফলে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়ানো যায় না। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর ও আর নিজাম রোডস্থ রয়েল গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে লিভার কেয়ার সোসাইটি আয়োজিত র্যালি ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। লিভার কেয়ার সোসাইটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হেপাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুল হক খান, এনসিডিসি লাইন ডিরেক্টর (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন, এমআইএস পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন, চমেক হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান ডা. আলোক কুমার রাহা ও ডা. সালাহউদ্দীন শাহেদ চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফরিদুল আলম, চসিক প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দীন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আমিন, সিনিয়র পুষ্টিবিদ হাসিনা আক্তার লিপি, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, এপিক হেলথ কেয়ারের অপারেশন্স ম্যানেজার ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ, সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার রেজাউল করিম, এসআরএল ডায়াগনস্টিক চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রবিউল আলম ও বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস এরিয়া ম্যানেজার এন এম আবদুল আজিজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লিভার কেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও চমেক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. তারেক শামস।
সুধী সমাবেশে বক্তারা বলেন, হেপাটাইটিস কেয়ারকে শুধুমাত্র হাসপাতাল কেন্দ্রিক না রেখে জনগণের কাছে নিয়ে আসতে হবে এবং সহজ করে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। হেপাটাইটিসের ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, বিশেষত হেপাটাইটিস স্ক্রিনিং ও সচেতনতা বিষয়ে। এছাড়া জীবাণুমুক্ত ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জ, নিজের রেজার ও ব্লেড নিজে ব্যবহার, নিরাপদ যৌনতা এবং হেপাটাইটিস বি’র টিকা গ্রহণের বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করা অপরিহার্য।
উল্লেখ্য, সারাবিশ্বের জনসাধারণ, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আক্রান্ত রোগী ও তাদের স্বজনদের মাঝে হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি ও ই সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা, রোগ নির্ণয়, প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে নানা আয়োজনের মাধ্যমে প্রতি বছর ২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালিত হয়।
Discussion about this post