হার্টবিট ডেস্ক
ইউরোপের দেশগুলোতে খুব দ্রুত মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেসাস। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মাঙ্কিপক্স পরিস্থিতি এখন বেশ খারাপ অবস্থায় আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেছেন তেদ্রোস। আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেছেন, এ দুটি অঞ্চলে পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৮টি দেশে ১৮ হাজার মানুষের শরীরে মাঙ্কিপক্সের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি শনাক্ত হয়েছে ইউরোপীয় অঞ্চলে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছে ২৫ শতাংশ।
তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেসাস আরও বলেছেন, শনাক্ত হওয়া ৯৮ শতাংশই ‘পুরুষের সঙ্গে পুরুষ’ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। এটি যেকোনো ভাইরাসের মতোই বিপজ্জনক এবং এ ধরনের সম্পর্ক মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে উৎসাহিত করতে পারে।
গুজব ছড়ানোর ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক। তিনি বলেছেন, ‘করোনার সময় আমরা দেখেছি, অনলাইনে খুব দ্রুত ভুল তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এখন মাঙ্কিপক্সের ব্যাপারে ভুল ও ক্ষতিকারক তথ্য যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য পদক্ষেপ নিতে সামাজিক মাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম, প্রযুক্তি সংস্থা ও সংবাদ সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানাই।’
গত শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে মাঙ্কিপক্সের ব্যাপারে বিশ্বজুড়ে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে। মাঙ্কিপক্সের ছড়িয়ে পড়া রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে বৈশ্বিক এই সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যারা পুরুষদের সঙ্গে যৌনমিলন করেন, তারা এই মুহূর্তের জন্য আপনার যৌনসঙ্গীর সংখ্যা হ্রাস করুন। নতুন সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের আগে পুনর্বিবেচনা করুন।
কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য এমভিএ-বিএন (মোডিফাইড ভ্যাক্সিনিয়া আংকারা-ব্যাভারিয়ান নর্ডিক) নামের টিকা অনুমোদন করেছে এবং আরও দুটি টিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে টিকার কার্যকারিতা ও ডোজ সম্পর্কিত তথ্যের অভাবের কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বর্তমানে মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে গণটিকার সুপারিশ করছে না।
Discussion about this post