হার্টবিট ডেস্ক
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের চিকিৎসা সেবা দিতে ‘উখিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতাল’ এর স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) যৌথ উদ্যোগে হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্য সেবা চালু হয়েছে।
শুরুর দিনে পাঁচটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। এর মধ্যে নিজেই চার রোগীর অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, উখিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালে সেবা সূচনার প্রথম দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। এরপর স্বাস্থ্য মহাপরিচালক নিজেই ৫ জন রোগীর মধ্যে ৪ জনের অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন।
আরও বলা হয়, হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম শুরুর দিনে মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগে আগত রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা দেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন আহমদ। প্রথম দিনে হাসপাতালে আগত চক্ষু রোগীদের সেবা দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফাতেমা বেগম।
এদিকে শুরুর দিনে হাসপাতালে রোগীদের শৈল্য চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে এক ভিডিও বার্তায় স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ইউএনএইচসিআরের যৌথ উদ্যোগে উখিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালে অস্ত্রোপচার শুরু করতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রান্তিক জনগণকে বিশেষায়িত হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে কৃতিত্ব দিয়ে তিনি আরও বলেন, উখিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যক্রমে অবদান রাখায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এ স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতি হোক এই কামনা করছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, মাইকোব্যাকটেরিয়াল ডিজিজ কন্ট্রোল পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমেদ, টিকা কর্মসূচির স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শামসুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ খালিদ হোসেন, এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
Discussion about this post