হার্টবিট ডেস্ক
চলতি মাসের শেষে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. খুরশিদ আলম।
আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বুস্টার ডোজ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অচিরেই দেশের ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদেরকেও করোনা ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, নিবন্ধন তালিকা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। আবারও তাদের সঙ্গে বসব। নিবন্ধনের কার্যক্রমটা যদি তারা তাড়াতাড়ি করতে পারে, আমরাও তাড়াতাড়ি শুরু করে দিতে পারব। নিবন্ধন ছাড়া আমরা টিকা দিতে পারছি না। তবে আশা করছি আগামী মাসেই শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু করে দিতে পারব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ইতোমধ্যেই দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭৬.০৫ শতাংশ ব্যক্তিকে প্রথম ডোজ, ৭০.৩ শতাংশ ব্যক্তিকে দ্বিতীয় এবং ১৭.৯ শতাংশ ব্যক্তিকে বুস্টার ডোজ প্রদান করেছে, যা সারাবিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক অপ্রতুলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার দেশের জনসাধারণকে করোনা ভ্যাকসিন প্রদানে বদ্ধ-পরিকর।
বর্তমানে দেশে ৫ প্রকারের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক ও জনসন) মোট প্রায় দুই কোটি ৭৮ লাখ ডোজ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে বলে জানান তিনি।
Discussion about this post