হার্টবিট ডেস্ক
ভারপ্রাপ্ত ভিসির দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তোপের মুখে পড়েন ভারপ্রাপ্ত ভিসি অধ্যাপক ডা: রফিকুল আলম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলমের কাছে ভারপ্রাপ্ত ভিসির দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
বিদায়ী ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া যাওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ জন অধ্যাপক, সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপককে পদোন্নতি এবং চুক্তিভিত্তিক সাড়ে চার শতাধিক তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদোন্নতি ও চাকরি নিয়মিত করে যান।
বুধবার সকালে নতুন ভারপ্রাপ্ত ভিসি ও রেজিস্ট্রাররা কার্যালয়ে এলে পদোন্নতি ও চাকরি নিয়মিতকরণ থেকে বঞ্চিত চুক্তিভিত্তিক শত শত কর্মচারী তাদের অফিস ঘেরাও এবং অবরুদ্ধ করে ফেলে। এ সময় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় পরে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত ভিসি ও রেজিস্ট্রার ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে চাইলে তাদের গাড়ি আটকে দেন কর্মচারীরা। এ সময় তারা পদোন্নতি ও নিয়মিতকরণ থেকে বঞ্চিতদের দাবি বিবেচনার আশ্বাসের পাশাপাশি আপাতত পদোন্নতি ও নিয়মিত হওয়া ব্যক্তিদের যোগদানপত্র গ্রহণ করা হবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষুব্ধরা শান্ত হন।
বুধবার দুপুর ১২টায় বিএসএমএমইউর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দেখা গেছে চাকরি নিয়মিতকরণের হিসাব-নিকেশ করতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পদোন্নতির জন্য পদ রয়েছে ৮৮টি। কিন্তু চাকরি নিয়মিত করার জন্য আবেদন করেন দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কাজ করা সাড়ে ৫০০’র বেশি কর্মচারী। তাদের মধ্যে থেকে ৩৭৫ জনকে পদোন্নতি দিয়ে চাকরি নিয়মিত করা হয়। এজন্য অনেককে এক ধাপ পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত ৩৬ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, পদোন্নতি দেয়া হয়নি এমন বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে পদোন্নতি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল হান্নান বলেন, ‘সব নিয়ম ও শর্ত পূরণ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিতকরণ ও পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকেই বঞ্চিত হয়েছে। বঞ্চিতরাই আজ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।’
তিনি আরও বলেন, যেসব পদোন্নতি বা নিয়মিত করা হয়েছে সেগুলো সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হবে। অনেকেই মনগড়া কাহিনি তৈরি করে অর্থের বিনিময়ে পদোন্নতি ও চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়েছে বলে কুৎসা রটাচ্ছে।’
Discussion about this post