হার্টবিট ডেস্ক
বরিশালের হাসপাতালগুলোতে করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা কম থাকলেও আক্রান্তের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। প্রতিদিনই শনাক্তের হার বাড়ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের (শেবাচিম) পিসিআর ল্যাবের পরিসংখ্যানে শনাক্তোর হার ৪৮.৯৭ ভাগ।
তবে আক্রান্তদের বেশিরভাগই হোমকোয়ারাইন্টেনে থাকছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
শুক্রবার (১ জুলাই) শেবাচিম আরটিপিসিআর ল্যাবের ইনচার্জ সহযোগী অধ্যাপক ডা. একেএম আকবার কবির স্বাক্ষরিত রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত) আরটিপিসিআর ল্যাব রিপোর্টে প্রায় অর্ধেক নমুনাই পজেটিভ। এই আরটিপিসিআর ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ৪৯টি নমুনা পরীক্ষায় ২৪টির ফলাফল পজেটিভ পাওয়া গেছে। সেখানে শনাক্তের হার ৪৮.৯৭ ভাগ। এর মধ্যে ১৯ জনই বরিশাল নগরীর বাসিন্দা। যা এই বছরের সর্বোচ্চ শনাক্তের হার।
এর আগে গত ২৩ জুন বরিশালে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৪৪.৪৪ ভাগ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান আরও বলেন, প্রায় দুই মাস বরিশালে করোনা শনাক্তের হার শূন্য ছিল। কিন্তু গত ১৯ জুন থেকে শনাক্তের হার বাড়তে থাকে। ৩০ জুনের রিপোর্টে ৪০ টি নমুনার মধ্যে ১২টি (৩০%), ২৯ জুন ৩৪টির মধ্যে ৭টি (২০.৫৮%) এবং ২৮ জুন ২৮ টির মধ্যে ৯টিতে (৩২.১৪%) করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়।
তিনি বলেন, বরিশালে গত ১৯ জুন থেকে করোনা শনাক্তের হার বাড়লেও হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে না। হাতে গোনা কয়েক জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও অধিকাংশ রোগী চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। এছাড়া শনাক্তের হার বাড়ায় আরও জনসচেতনতার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে মাস্ক পরিধানের বিষয়ে জনগনকে সচেতন করা হচ্ছে।
করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বরিশালবাসীকে নিয়ম মেনে মাস্ক পরার আহ্বান জানান তিনি।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীর সেবার জন্য হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডসহ ফ্লু-কর্ণার প্রস্তুত আছে। এছাড়া নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে হাসপাতালে ৩জন রোগী চিভর্তি আছেন। তারা সবাই করোনায় আক্রান্ত।
তিনি বলেন, গত ৪ এপ্রিল সর্বশেষ রোগী এখানে ভর্তি ছিলেন। এরপর রোগী শূন্য হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড। ফের গত ১৯ জুন একজন রোগী ভর্তি হন। ২০২০ সালের ১৭ মার্চের পর থেকে এ পর্যন্ত এই ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭ হাজার ৬৭৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬হাজার ১৯৮ জন, মারা গেছেন ১ হাজার ৪৭৬ জন। তবে সরাসরি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৩৯ জন।
Discussion about this post