হার্টবিট ডেস্ক
আট মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ এন্ড সার্জন্সের (বিসিপিএস) এফসিপিএস প্রশিক্ষণরত চিকিৎসকদের ভাতা আজ থেকে দেওয়া শুরু হয়েছে।
আজ রোববার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ মেডিভয়েসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে গত জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০ সেশনের ট্রেইনিদের ভাতা দেওয়া শুরু হয়েছে অর্থাৎ সবার একাউন্টে ফান্ড ট্রান্সফার শুরু হয়েছে। এখন থেকে এটি চলামন থাকবে।’
ভাতা প্রদানে বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘করোনার কারণেই মূলত দেরি হয়েছে। কেননা অনকে প্রশিক্ষণরত চিকিৎসক এ সময়ে কন্টিনিউ করেননি। ফলে তাদেরকে চিহ্নিত করে এবং সকল কিছু যাচাই বাছাই করতে এতদিন সময় লেগেছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর এফসিপিএস ট্রেইনিদের ভাতা প্রদানের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ এন্ড সার্জন্স (বিসিপিএস)।
বিসিপিএসের তৎকালীন অনারারী সচিব অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এফসিপিএস ১ম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে যারা বিসিপিএস কর্তৃক স্বীকৃত সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণরত, তাদেরকে শর্ত সাপেক্ষে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হবে।
এর পর থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর দুই দফা ভাতা পান ট্রেইনিরা। তবে তৃতীয় দফায় এসে তা নয় মাসে গড়ালো।
নীতিমালায় যা আছে
১. এফসিপিএস ১ম পর্ব পাস করা বিসিপিএস কর্তৃক স্বীকৃত বিভিন্ন মেডিকেল প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণরত অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদেরকে এ ভাতা প্রদান করা হবে।
২. প্রতি মাসে প্রশিক্ষণার্থীকে ২০ হাজার টাকা করে প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হবে।
৩. প্রশিক্ষণার্থীদেরকে ফেলোশিপ প্রোগ্রামের ৫ বছর/পুরো প্রশিক্ষণকাল এ ভাতা প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণের কোন স্লট ছয় মাসের কম হবে না।
৪. জুলাই ২০১৯ সেশনে এফসিপিএস ১ম পর্ব পাস করা প্রশিক্ষণার্থীদের থেকে এ ভাতা প্রদান শুরু করা হবে। তবে সরকার থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে অতীতে এফসিপিএস ১ম পর্ব পাস করা প্রশিক্ষণার্থীদের ক্ষেত্রেও এ ভাতা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
৫. বিসিপিএস কর্তৃক স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠানে রোড ম্যাপ অনুযায়ী অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদেরকে পদায়ন করা হবে। তবে সে ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণার্থীকে প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া হবে।
৬. এ ভাতা গ্রহণকারীগণ অন্য কোথাও কোন প্রকার চাকরি/ডিউটি/প্র্যাকটিস করতে পারবে না। যদি কখনও তা প্রমাণ হয়, তাহলে সমুদয় টাকা ফেরৎসহ লব্ধ প্রশিক্ষণ বাতিল করা হবে।
৭. প্রতি স্লট যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার নিশ্চয়তা প্রমাণপত্র ITMC/প্রশিক্ষক/হাসপাতাল পরিচালক/সুপার/সিভিল সার্জনের কাছ থেকে আনতে হবে। সন্তোষজনকভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত সাপেক্ষে প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হবে।
৮. প্রতি মাসে বিসিপিএসের কোষাধ্যক্ষ ও অনারারী সচিবের স্বাক্ষরে চেক/প্রশিক্ষণার্থীর ব্যক্তিগত অনলাইন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হবে।
Discussion about this post