হার্টবিট ডেস্ক
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন ৭২ হাজার ৯২৩ জন। এদের মধ্যে মাত্র তিন জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন: জ্বর, টিকা দেওয়া স্থানে লাল হাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে।আর এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৭৪৭ জন। এদের মধ্যে মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৯০০ জনের। পাশাপাশি টিকার জন্য মোট নিবন্ধন করেছে ৬১ লাখ ১৫ হাজার ৫৫২ জন।
শনিবার (২০ মার্চ) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন ৭২ হাজার ৯২৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৪০ হাজার ৪৭৭ জন এবং নারী ৩২ হাজার ৯২৩ জন।
বিজ্ঞতিতে জানানো হয়, ঢাকা বিভাগে ১৯ হাজার ৪৩২ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ হাজার ৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ হাজার ১৯৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১১ হাজার ১৮২ জন, রংপুর বিভাগে ৮ হাজার ৫৬৬ ঐজন, খুলনা বিভাগে ৭ হাজার ৯০৬ জন, বরিশাল বিভাগে ৪ হাজার ৩৪১ জন ও সিলেট বিভাগে ৩ হাজার ২৯৪ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।
করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এই দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। অর্থাৎ মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০ টিম কাজ করবে। এছাড়াও ভ্যাকসিন বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য টিম প্রস্তুত রয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি।
Discussion about this post