হার্টবিট ডেস্ক
গ্রাম ডাক্তারদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে স্থানীয়ভাবে ২১ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজনে অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ১৩ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এমন তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার পরিচালক ডা. তাহমিনা সুলতানা স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতিকে গ্রাম ডাক্তারদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির নিমিত্বে গ্রাম ডাক্তার রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য অনুমতি প্রদান করা হলো।
এতে আরও বলা হয়েছে, রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ পরিচালনায় পরিচালক, পিএইচসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের সকল শর্ত ও নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।
উল্লেখ্য,
১. স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্বল্প পরিসরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গ্রাম ডাক্তারদের রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ পরিচালনা করতে হবে।
২. নোভেল করোনাভাইরাস, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে গ্রাম ডাক্তারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
৩. প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীগণকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে।
৪. গ্রাম ডাক্তারদের প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ আয়োজক সংস্থা/সমিতি কর্তৃক তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বহন করতে হবে এবং এতে সরকারি কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
৫. প্রশিক্ষণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কারিকুলাম অনুমোদন কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত প্রশিক্ষণ সহায়িকা ব্যবহার করতে হবে।
৬. স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে ইতিপূর্বে মৌলিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও নিবন্ধিত গ্রাম ডাক্তারদেরকেই রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। নতুনভাবে গ্রাম ডাক্তার তৈরি করার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা যাবে না।
৭. সরকারি/বেসরকারি মেডিকেল গ্রাজুয়েট প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
৮. প্রশিক্ষণে প্রাপ্ত সনদ কোনো ডিগ্রি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না এবং প্রদর্শিত সাইন বোর্ডে ডিগ্রি হিসাবে লেখা যাবে না।
৯. সংযুক্ত চেকলিস্ট মোতাবেক প্রশিক্ষণের মান পরিদর্শন করা যাবে।
১০. রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ শুরু করার ৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে ক্লাস রুটিন নিম্নে স্বাক্ষরকারী বরাবরে আবশ্যিকভাবে প্রেরণ করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী প্রশিক্ষণের অনুমতি প্রদান করা হবে না।
১১. অনুমোদন জারির ১ (এক) মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ শুরু করতে হবে এবং ২ (দুই) মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করতে হবে। অনুমোদন জারির ২ (দুই) মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করতে না পারলে এ আদেশ বাতিল বলে গণ্য।
Discussion about this post