হার্টবিট ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন জানান, লুপাস রোগের চিকিৎসায় অত্যান্ত সুচারুভাবে বিএসএমএমইউ এবং পরবর্তীতে আরও আটটি মেডিকেল কলেজে রিউম্যাটোলজি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘লুপাস করো দৃশ্যমান’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের বিশ্ব লুপাস দিবস পালিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন বলেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ২ থেকে ৩ মাস পরে লুপাস রোগীরা একজন রিউম্যাটোলজিস্টকে দেখাতে পারেন। আর বাংলাদেশের রোগীরা তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎিসা নিতে পারেন।
তিনি বলেন, চিকিৎসার প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। লুপাস রোগীর চিকিৎসা আগে শুরু হলেও বিএসএমএমইউ’তে একটি মাস্টার প্ল্যান হিসেবে রিউম্যাটোলজি বিভাগ শুরু হয়। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা শুরু হয়। গত এক যুগে বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে মেডিকেল সেক্টরে, এটি অনস্বীকার্য। প্রতিবেশি রাষ্ট্রের চেয়ে সকল মেডিকেলের সূচকে কিন্তু আমরা এগিয়ে রয়েছি। কাজেই এখানে হীনমন্যতায় ভোগার কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭টি বিভাগের মধ্যে প্রথম সারির যে বিভাগটি রয়েছে, সেটা হচ্ছে রিউম্যাটোলজি বিভাগ। এখানে ছাত্ররা লেখাপড়া ও গবেষণা করছে। পাশাপাশি এখানে রোগীদের সেবা দিচ্ছে; এটি অনস্বীকার্য। অন্যান্য বিভাগের তুলনায় অনেক দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে এই বিভাগটি। সমস্ত মেডিকেল কলেজে যেন রিউম্যাটোলজি বিভাগ খোলা যায়। যশোর, বগুড়া, খুলনা ও বান্দরবান থেকে রোগীরা যেন ঢাকায় চিকিৎসা নিতে না আসে। তারা যেন নিজ জেলাতে চিকিৎসা পায়, সেইভাবে লোকবল তৈরি করতে হবে, যা আমাদের দায়িত্ব।
গুণী এই চিকিৎসক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এখন দুই হাজার শয্যার হাসপাতাল, এটা মনে করি না। ছয় মাস পরে এটি ২৮’শ শয্যার হাসপাতাল হবে। এটি যদি পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতালও হয়, তাও দেশের রিউম্যাটোলজি রোগীর স্থান সংকুলান হবে না। তাই এই চিন্তা- চেতনা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হবে গবেষণার সূতিকাগার, যেখানে রিউম্যাটোলজি রোগী নিয়ে গবেষণা করা হবে। সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞান দেশের ১৮ কোটি মানুষের মাঝে কিভাবে ছড়িয়ে দিতে পারি, কিভাবে পৌঁছে দিতে পারি সেই চেষ্টা করতে হবে।
অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউম্যাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান ও অ্যাপলারের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক স্বপ্না।
Discussion about this post